জাতীয়

দিনদুপুরে ‘সালাম’ দিয়ে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ছিনতাই, গ্রেফতার ৭

ব্যাংক কর্মকর্তা শাখাওয়াত হোসেন সম্প্রতি এক দুপুরে রাজধানীর মতিঝিল থেকে অফিসের কাজে রিকশাযোগে ওয়ারী থানার র‌্যাংকিন স্ট্রিট দিয়ে যাচ্ছিলেন। ঠিক এ সময়ে কয়েকটি রিকশায় কয়েকজন লোক এসে সালাম দিয়ে গতিরোধ করেন তাকে।

Advertisement

এসময় অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে তার পকেটে থাকা ২৪ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেন তারা।

ছিনতাইকারী এ চক্রের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগী বাদী হয়ে ওয়ারী থানায় একটি ডাকাতি মামলা করেন। পরে মামলার ছায়া তদন্তে নামে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা (ডিবি) ওয়ারী বিভাগ। শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) রাতে রাজধানীর মগবাজার ও ওয়ারী এলাকায় অভিযান চালিয়ে ডাকাত চক্রের ৭ সদস্যকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা (ডিবি) ওয়ারী বিভাগের একটি টিম।

গ্রেফতাররা হলেন-চক্রের মূল হোতা সজল সিদ্দিক (৪৭), আবুল হোসেন (৪৭), রফিকুল ইসলাম সবুজ (২৬), মো. আরেফিন (৪৩), মো. আমির আলী (৫৫), মোমিন প্রামাণিক (৫৬) ও মো. শাহিন (৩২)। অভিযানে তাদের কাছ থেকে ছিনতাই করা ৬ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।

Advertisement

শনিবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুরে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব তথ্য জানান ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

তিনি বলেন, মতিঝিল থেকে একটি সরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তা রিকশাযোগে ওয়ারী এলাকায় যাওয়ার সময় অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ছিনতাইয়ের ঘটনায় ৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ওয়ারীর ঘটনার পরও চক্রটি ধারাবাহিকভাবে ছিনতাই করে আসছিল। ছিনতাই করা অবস্থায় চক্রের ৩ জনকে মগবাজার থেকে হাতেনাতে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ওয়ারী এলাকায় অভিযান চালিয়ে আরও ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়।

হারুন বলেন, এ চক্রে ৮ জন সদস্য রয়েছে। তাদের মধ্যে ৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। চক্রের সদস্যরা ১০ থেকে ১৫ বছর ধরে ছিনতাই করে আসছিলেন। চক্রের মূল হোতা সজলের বিরুদ্ধে ছিনতাই, ডাকাতিসহ দেশের বিভিন্ন থানায় ১৯ মামলা, আবুলের বিরুদ্ধে ৮ টি, সবুজের বিরুদ্ধে ৭টি, আরেফিনের বিরুদ্ধে ৫টি ছিনতাই মামলা, আমির আলীর বিরুদ্ধে ৩টি ছিনতাই মামলার তথ্য পাওয়া গেছে। চক্রের সদস্যরা গোয়েন্দা পুলিশকে জানিয়েছে, তারা প্রতিমাসে ১৫-১৬টি ছিনতাই ও ডাকাতির ঘটনা ঘটাতেন।

ওয়ারী থানায় দায়ের করা মামলায় গ্রেফতার ৭ জনের মধ্যে দুজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছেন বলেও জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।

Advertisement

আরএসএম/এমআইএইচএস/জেআইএম