ভারতে সরকারি গুদামগুলোতে গমের মজুত ১ কোটি ৯০ লাখ মেট্রিক টনে নেমে এসেছে, যা গত সাত বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। মূলত বাজারে মূল্যস্ফীতি কমাতে বিপুল পরিমাণ মজুত গম বিক্রি করে দেওয়ায় এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। ভারত সরকারের দুটি সূত্রের বরাতে গত শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
Advertisement
বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম গম উৎপাদক ভারত। কিন্তু গত বছর তীব্র তাপপ্রবাহে উৎপাদন কমে যাওয়ায় গম রপ্তানি নিষিদ্ধ করে তারা। একই সময়, ইউক্রেনে রুশ আক্রমণের কারণে বিশ্বব্যাপী গমের দাম ও বিক্রি হু হু করে বেড়ে যায়।
আরও পড়ুন>> গম রপ্তানি নিষিদ্ধ করলো ভারত, পাবে প্রতিবেশীরা
যদিও ২০২৩ সালে মার্কিন গমের দাম ৩৫ শতাংশ কমেছে, কিন্তু নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও ভারতে এর দাম গত কয়েক মাসে ২০ শতাংশের বেশি বাড়তে দেখা গেছে।
Advertisement
ভারতীয় বাণিজ্য ও শিল্প কর্মকর্তাদের মতে, এ বছর দেশটিতে অভ্যন্তরীণ গম উৎপাদন অতীতের রেকর্ড ১১ কোটি ২৭ লাখ মেট্রিক টনের তুলনায় অন্তত ১০ শতাংশ কম হয়েছে। এ কারণেই দাম বেড়েছে।
আরও পড়ুন>> বিশ্ববাজারে অর্ধেকে নেমেছে গমের দাম, সুফল নেই দেশে
কম উৎপাদনের আরেকটি প্রমাণ হলো, ভারত সরকার স্থানীয় কৃষকদের কাছ থেকে মাত্র ২ কোটি ৬২ লাখ মেট্রিক টন গম কিনেছে, যেখানে তাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩ কোটি ৪১ লাখ টনের বেশি।
কিন্তু এরপরও ভারত সরকার রাশিয়ার মতো সরবরাহকারী দেশগুলো থেকে গম আমদানির বিরুদ্ধে অবস্থান ধরে রেখেছে। ৪০ শতাংশ আমদানি শুল্ক কমানো বা মওকুফের প্রস্তাবে সায় দেয়নি তারা।
Advertisement
আরও পড়ুন>> ৮ বছরে সর্বনিম্ন বৃষ্টিপাত/ ভারতের চাল-ডাল রপ্তানিতে আরও কড়াকড়ির শঙ্কা
পরিবর্তে, সরকারি গুদামগুলো থেকে বেসরকারি ব্যবসায়ীদের কাছে গম বিক্রি করেছে সরকার।
সূত্র বলেছে, ভারতে মজুত হয়তো কম, কিন্তু দাম যেন দ্রুত বাড়তে না পারে তা নিশ্চিত করার জন্য সরকারের কাছে এখনো পর্যাপ্ত গম রয়েছে। প্রয়োজন হলে সরকার আরও গম বিক্রি করতে পারে।
কেএএ/