দেশের ব্যস্ততম ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফেনী অংশের ৩১ কিলোমিটার সড়কে পথচারীদের পারাপারের জন্য নির্মাণ করা হয়েছে ৬টি ফুট ওভারব্রিজ। তবে সেসব ফুট ওভারব্রিজ ব্যবহার না করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সড়ক পার হচ্ছে মানুষ। এতে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা।
Advertisement
ফেনী সড়ক ও জনপথ বিভাগ সূত্র জানায়, সড়কে নির্বিঘ্নে পথচারীদের পারাপারের জন্য ও দুর্ঘটনা রোধে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক চার লেনে উন্নীত হওয়ার পর ফেনী সদরের মোহাম্মদ আলী, ফতেহপুর, মহিপাল, লালপুল, ফাজিলপুর ও মুহুরীগঞ্জে ওভারব্রিজগুলো নির্মাণ করা হয়। প্রতিটি ওভারব্রিজ নির্মাণে ব্যয় হয়েছে প্রায় ৯৫ লাখ টাকা। ৫ কোটি ৭০ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই ওভারব্রিজগুলো ব্যবহার না করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা পারাপার হচ্ছে মানুষ।
ফুট ওভারব্রিজ ব্যবহার না করে রাস্তা পারাপারের ফলে বিভিন্ন দুর্ঘটনায় প্রতি বছর বিপুল পরিমাণ জানমালের ক্ষতি হয়। গত এক বছরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ১০ জনের বেশি। আহত হয়েছেন শতাধিক।
মুহুরীগঞ্জ বাজারের ব্যবসায়ী শিহাব উদ্দিন বলেন, সড়ক দিয়ে মানুষ চলাচলের পথ যদি বন্ধ করে দেওয়া হয় তখন মানুষ বাধ্য হয়ে ফুট ওভারব্রিজ ব্যবহার করবে। তা না হলে ওভারব্রিজ কেউ ব্যবহার করবে না।
Advertisement
সিদ্দিকুর রহমান নামে এক পথচারী জানান, সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠতে কষ্ট হয় এই অজুহাতে কেউ এসব ব্রিজ ব্যবহার করে না। তাই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে হেঁটে রাস্তা পার হয়। তার দাবি, সড়ক বিভাজকে ব্যারিয়ার করে দিলে ফুট ওভারব্রিজগুলো ব্যবহার হবে।
মহসিন আলম নামে ফাজিলপুরের এক পথচারী বলেন, আমরা নিচ দিয়ে হেঁটে এ রাস্তা পারাপারে অভ্যস্ত, উপর দিয়ে রাস্তা পার হতে ইচ্ছে করে না।
কলেজশিক্ষক ফারুক আহাম্মদ জানান, পথচারীদের সচেতনতার অভাবে ফুট ওভারব্রিজ ব্যবহার না করায় দুর্ঘটনা ঘটে। ফুট ওভারব্রিজের নিচের সড়কের ডিভাইডারে ব্যারিয়ার স্থাপন এখন অপরিহার্য হয়ে পড়েছে।
মহিপাল হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোস্তফা কামাল জানান, মহাসড়কে দুর্ঘটনা রোধে ফুট ওভারব্রিজগুলো ব্যবহারে আমরা সব সময় পথচারীদের সচেতন করে আসছি। দুর্ঘটনা রোধে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে নিয়মিত সচেতনামূলক প্রোগ্রাম করেছি।
Advertisement
জানতে চাইলে ফেনীর সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী বিনয় কুমার পাল জানান, মহাসড়কে দুর্ঘটনা প্রতিরোধে ফেনী অংশে ৬টি ফুট ওভারব্রিজ নির্মাণ করলেও এগুলো যথাযথ ব্যবহার না হওয়ায় কোনো কাজে আসছে না। ব্যবহার বৃদ্ধির জন্য সড়কের বিভাজনীতে ব্যারিয়ার স্থাপনের চিন্তাভাবনা রয়েছে।
এফএ/এমএস