বিশ্বব্যাপী অটিজম ও অন্যান্য নিউরো ডিভালাপমেন্ট ডিসঅর্ডারগ্রস্ত জনগোষ্ঠীর অধিকার রক্ষা সুলভ ও টেকসই পরিকল্পনা গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশের অটিজম বিষয়ক পরামর্শক কমিটির চেয়ারপারসন এবং মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক ডব্লিউএইচও এক্সপার্ট অ্যাডভাইসরি প্যানেলের সদস্য সায়মা ওয়াজেদ হোসেন।শুক্রবার (এপ্রিল) বিকেলে জাতিসংঘে “অটিজম মোকাবেলা: এসডিজি’র আলোকে বিশ্ব সম্প্রদায়ের কৌশল” শীর্ষক এক হাই-লেভেল ইভেন্টে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে এ আহ্বান জানান তিনি। অটিজম সচেতনতা দিবস ২০১৬ উদযাপন উপলক্ষ্যে জাতিসংঘের দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ, কাতার, দক্ষিণ কোরিয়া, উজবেকিস্তান ও যুক্তরাষ্ট্র এবং অটিজম স্পিকস যৌথভাবে এ ইভেন্টের আয়োজন করে।সায়মা ওয়াজেদ বলেন, বাংলাদেশ গত সাত বছর ধরে একটি বহুমুখী ও বহুপাক্ষিক মডেল বাস্তবায়ন করছে। ইতোমধ্যেই লক্ষ্য অর্জনে অনেক অগ্রগতি হয়েছে। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যের (এসডিজি) আলোকে অটিজম মোকাবেলায় বিশ্ব কৌশল গ্রহণে বাংলাদেশের এই অনন্য মডেল অত্যন্ত কার্যকর হতে পারে বলে আশাবাদী তিনি।অটিজমসহ প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর অধিকার ও কল্যাণ নিশ্চিতে অত্যন্ত প্রতিজ্ঞাবদ্ধ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গৃহীত বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের উল্লেখ করে সায়মা ওয়াজেদ হোসেন বলেন, প্রতিবন্ধীদের অধিকার রক্ষায় আন্তর্জাতিক আইন গ্রহণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ অগ্রণী দেশ। বাংলাদেশ এর প্রটোকলও স্বাক্ষর করেছে।তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের সংবিধানে প্রতিবন্ধীসহ সকল প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অধিকার সংরক্ষণ করা হয়েছে। প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে ১৯৯৯ সালে জাতীয় ফাউন্ডেশন গঠন করা হয়েছে। ২০০১ সালে তাদের অধিকার রক্ষায় প্রথম আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। তাদের জীবনমান উন্নয়নে একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় টার্সফোর্স গঠন করা হয়েছে। ২০১৩ সালে প্রতিবন্ধী কল্যাণ আইন যুগোপযোগী করা হয়েছে। সেই বছরই অটিস্টিকসহ অন্যান্য মানসিক প্রতিবন্ধীর প্রাতিষ্ঠানিক পরিচর্যা নিশ্চিতে বাংলাদেশ জাতীয় নিউরো ডেভালাপমেন্ট ডিসঅর্ডার সংরক্ষণ ট্রাস্ট আইন প্রণয়ন করা হয়েছে।ইভেন্টে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মাসুদ বিন মোমেন এবং কাতারের স্থায়ী প্রতিনিধি আলিয়া আল-থানির সঞ্চালনায় এ উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে মিসেস বান সুন-টেক, অটিজম স্পিকসের সুজানা রাইটস এবং ভারত, কোরিয়া, উজবেকিস্তান ও যুক্তরাষ্ট্রের স্থায়ী প্রতিনিধি ও ইকোসকের প্রতিনিধি বক্তব্য রাখেন।এসকেডি/আরআইপি
Advertisement