মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে ১৩ দেশের ৩৭ জনের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) কানাডা ও যুক্তরাজ্যের সঙ্গে সমন্বিতভাবে মার্কিন রাজস্ব ও পররাষ্ট্র দপ্তর এই নিষেধাজ্ঞা জারি করে। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছেন।
Advertisement
গত বছর থেকে মানবাধিকার লঙ্ঘন ইস্যুতে এক ডজন দেশের দেড় শতাধিক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার অনুমোদন দিয়েছে মার্কিন রাজস্ব দপ্তর। বাজেয়াপ্ত করেছে তাদের সম্পদ। এসব ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে লেনদেন করলে মার্কিন নাগরিকরাও নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়ার ঝুঁকি রয়েছে।
আরও পড়ুন>> নির্বাচনে কারচুপি/ জিম্বাবুয়ের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নিষেধাজ্ঞা
আগামী রোববার বিশ্বজুড়ে উদযাপিত হবে মানবাধিকার দিবস। তার আগে নতুন করে এই নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দিলো যুক্তরাষ্ট্র।
Advertisement
মার্কিন রাজস্ব দপ্তর এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা দুই ইরানি গোয়েন্দা কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। ২০২০ সালে কুদস বাহিনীর কমান্ডার কাসেম সোলেইমানি হত্যাকাণ্ডের প্রতিশোধ নিতে যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অভিযানের জন্য লোক নিয়োগ করেছিলেন এই কর্মকর্তারা।
মজিদ দাস্তজানি ফারাহানি এবং মোহাম্মদ মাহদি খানপুর আরদেস্তানি নামে ওই দুই ইরানি কর্মকর্তা যুক্তরাষ্ট্রে বিভিন্ন ধর্মীয় স্থান, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ স্থানে নজরদারির জন্যেও লোক নিয়োগ দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন>> ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিয়ে কী হাসিল করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র?
মার্কিন নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়েছেন তালেবান সদস্যরাও। নারী ও মেয়েদের দমনপীড়নের অভিযোগ আনা হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। এছাড়া, আফগানিস্তানের তথাকথিত নৈতিকতা প্রচার এবং অনৈতিকতা প্রতিরোধ মন্ত্রণালয়ের বিরুদ্ধে হত্যা, অপহরণ ও নির্যাতনের অভিযোগ তুলে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
Advertisement
নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্তদের তালিকায় রয়েছেন চীনের মধ্যম শ্রেণির দুই কর্মকর্তাও। দেশটির জিনজিয়াং অঞ্চলে উইঘুর মুসলিমদের নিপীড়নে জড়িত থাকার অভিযোগ আনা হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। পাশাপাশি, উইঘুর ও চীনের অন্যান্য সংখ্যালঘুদের দিয়ে জোরপূর্বক শ্রমের অভিযোগে তিনটি চীনা কোম্পানি থেকে পণ্য আমদানি নিষিদ্ধ করেছে মার্কিন সরকার।
আরও পড়ুন>> যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নিষেধাজ্ঞা নিয়ে বাংলাদেশ চিন্তিত নয়
যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার শিকারদের তালিকায় আরও রয়েছেন কঙ্গোর নেতা, হাইতির চারটি অপরাধী দলের প্রধান এবং উগান্ডা প্রিজন সার্ভিসের কমিশনার জেনারেল।
সমকামিতায় মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে সম্প্রতি কঠোর আইন পাস করেছে উগান্ডা সরকার। এর বিরুদ্ধেই সোচ্চার হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
এছাড়া, লাইবেরিয়া, দক্ষিণ সুদান এবং মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্রের লোকদের ওপরও নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ওয়াশিংটন।
সূত্র: রয়টার্সকেএএ/