বগুড়ার শিবগঞ্জে আটকের পর হাটবাজারের ইজারামূল্যের পাওনা ২০ লাখ টাকা জমা দিয়ে ছাড়া পেয়েছেন যুবলীগ নেতা আপেল সরকার। এ সময় তার কাছ থেকে পাওনাদির আরও ৫০ লাখ ৪৯ হাজার ৫০০ টাকা পরিশোধের জন্য আগামী ২৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় বেধে দিয়ে মুচলেকা নেয় উপজেলা প্রশাসন।
Advertisement
আপেল শিবগঞ্জের মোকামতলা ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও মোকামতলা হাটবাজারের ইজারাদার।
বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) সকালে মোকামতলা হাটবাজারের ইজারামূল্য পরিশোধ না করায় উপজেলার জয়পুরহাট সড়ক থেকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাহমিনা আক্তার আপেলকে আটক করেন। পরে তাকে শিবগঞ্জ থানায় নেওয়া হয়।
শিবগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন জানায়, ১৪৩০ বঙ্গাব্দের ১ বৈশাখ থেকে ওই বঙ্গাব্দের ৩০ চৈত্র পর্যন্ত এক বছর মেয়াদের জন্য আপেল সরকার ১ কোটি ৫২ লাখ ৫০ হাজার ২৫০ টাকায় মোকামতলা হাটবাজার ইজারা নেন। ওই সময় তিনি ইজারামূল্যে ৭০ লাখ ৪৯ হাজার ৫০০ টাকা পরিশোধ করেন। আর বাকি ৮২ লাখ ৭৫০ টাকা ১৪২৯ বঙ্গাব্দের ৩০ চৈত্রের মধ্যে অর্থাৎ এই বছরের ১৩ এপ্রিলের মধ্যে পরিশোধ করার কথা ছিল। বারবার তাগিদ দেওয়ার পরও তিনি পাওনাদি টাকা এখনও পরিশোধ করেননি। এতে সরকারের রাজস্ব আদায় বিঘ্নিত হয়।
Advertisement
আপেলকে উপজেলা প্রশাসন থেকে একাধিকবার লিখিত নোটিশও দেওয়া হয়েছে। সাড়া না দেওয়ায় ইজারামূল্য পরিশোধে তাকে থানায় নিয়ে আসা হয়। পরে বিকেলের দিকে আপেল ভুল স্বীকার করে হাটবাজারের ইজারামূল্যের পাওনাদির ২০ লাখ পরিশোধ করে মুচলেকা দিয়ে ছাড়া পান। এ সময় তিনি পাওনাদির আরও ৫০ লাখ ৪৯ হাজার ৫০০ টাকা পরিশোধের জন্য আগামী ২৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় চেয়ে নেন।
শিবগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রউফ বলেন, উপজেলা প্রশাসন আপেলকে থানায় নিয়ে এসেছিল। পরে আইনগতভাবে টাকা ও মুচলেকা দিয়ে ছাড়া পেয়েছেন।
শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাহমিনা আক্তার বলেন, মোকামতলার হাটবাজারের ইজারামূল্য পরিশোধ না করায় তাকে থানায় রাখা হয়েছিল। বকেয়া টাকার মধ্যে ২০ লাখ টাকা ও মুচলেকা দিয়ে তিনি ছাড়া পেয়েছেন। বাকি টাকা ২৭ ডিসেম্বরের মধ্যে না দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এই বিষয়ে জানতে মোকাতলা ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও হাটবাজারের ইজারাদার আপেল সরকারের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও সাড়া দেননি।
Advertisement
এফএ/জেআইএম