এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা, এসডিজি অর্জন এবং উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণে শিল্পের বহুমুখীকরণ এখন সময়ের দাবি। ব্যবসায়ী নেতাদের মতে, এসব লক্ষ্য বাস্তবায়নে- নতুন নতুন উদ্ভাবন এবং মেধাস্বত্ব সম্পদের সুরক্ষার মাধ্যমে কুটির, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের প্রতিযোগিতা সক্ষমতা বাড়ানোর বিকল্প নেই।
Advertisement
বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) রাজধানীর গুলশানে বাংলাদেশ প্রাইভেট সেক্টর ওয়ার্কিং কমিটির (বিপিএসডব্লিউসি) দ্বিতীয় সভায় এ কথা বলেন এফবিসিসিআই সভাপতি ও বিপিএসডব্লিউসির চেয়ারম্যান মাহবুবুল আলম।
মাহবুবুল আলম বলেন, বর্তমান সময়ে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং কর্মসংস্থান তৈরিতে ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণ, বিনিয়োগ বৃদ্ধি এবং প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন অতিজরুরি হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমন বাস্তবতায়, ক্ষুদ্র ব্যবসা উদ্যোগ থেকে শুরু করে করপোরেট প্রতিষ্ঠান এমনকি বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানেরও সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং বহুমুখীকরণ প্রয়োজন।
এ জন্য বেসরকারি খাতকে সরকার এবং জাতিসংঘের এজেন্ডাগুলোর সাথে সংযুক্তকরণ এবং এজেন্ডা বাস্তবায়নে সহজ শর্তে ঋণ এবং অর্থায়ন প্রাপ্তিতে বাংলাদেশ প্রাইভেট সেক্টর ওয়ার্কিং কমিটি (বিপিএসডব্লিউসি) গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশাবাদী এফবিসিসিআই সভাপতি।
Advertisement
সভায় অংশ নিয়ে বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গোয়াইন লুইস জানান, বাংলাদেশের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য বাংলাদেশ সরকার, জাতিসংঘ এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থাগুলোর সমন্বয়ে বেসরকারি খাতকে সহায়তা করবে বিপিএসডব্লিউসি।
তিনি বলেন, এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন এবং টেকসই উন্নয়ন বাস্তবায়নে বিপিএসডব্লিউসি’র এই উদ্যোগ গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বাজারের বিদ্যমান সুযোগকে কাজে লাগাতে এবং বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ধারা বজায় রাখতে এমন উদ্যোগ কার্যকরী হবে বলে আমার বিশ্বাস।
সভায় বাংলাদেশ এমপ্লয়ার্স ফেডারেশনের (বিইএফ) সভাপতি এবং বিপিএসডব্লিউসি’র কো-চেয়ারম্যান আরদাশীর কবির বলেন, টেকসই উন্নয়নের এজেন্ডা বাস্তবায়নে ক্ষেত্রে বিপিএসডব্লিউসিকে বেশকিছু চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হবে। ভুলে গেলে চলবে না, আমরা কোভিড পরবর্তী ধাক্কা এবং ইউক্রেন-রাশিয়া সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। সুতরাং সমন্বিত পদক্ষেপের মধ্য দিয়ে আমাদের এসডিজি’র লক্ষ্য অর্জনের পথে অগ্রসর হতে হবে।
গত ৯ আগস্ট বিপিএসডব্লিউসি’র প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় নির্ধারিত এজেন্ডাগুলো আজকের সভায় (দ্বিতীয় সভা) উপস্থাপন এবং অনুমোদন দেওয়া হয়।
Advertisement
অনুষ্ঠানে সরাসরি এবং ভার্চুয়ালি যুক্ত হন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি কো-অর্ডিনেশন সেলের ডেপুটি ডিরেক্টর আরিফুর রহমান মামুন, ইউএনআরসি’র ডেভেলপমেন্ট কো-অর্ডিনেশন অফিসার বেন মর্গান, বিইএফের কমিটি মেম্বার ফারজানা চৌধুরী, জাতিসংঘ, ইউনিসেফ, ইউএনডিপি, ইউএনএফপিএ, এফএও, আইএলও’র এসডিজি ফোকাল পয়েন্ট এবং প্রতিনিধিরা, এফবিসিসিআই’র মহাসচিব মো. আলমগীরসহ এফবিসিসিআই’র সেইফটি কাউন্সিলের উপদেষ্টা এবং বিপিএসডাব্লিউসি’র সদস্য সচিব ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবু নাঈম মো. শহীদুল্লাহ এবং বাণিজ্য ও ট্যারিফ নীতির উপদেষ্টা মনজুর আহমেদ এবং বিইএফ’র মহাসচিব ফারুক আহমেদ প্রমুখ।
ইএআর/এমএএইচ/জেআইএম