রাজনীতি

‌‘আমরা একটি বিপজ্জনক ফাঁদের ভেতরে পড়ে যাচ্ছি’

হাসানুল হক ইনু। জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) একাংশের সভাপতি। কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্র ইনুর উত্থান ছাত্রলীগের রাজনীতি দিয়ে। মহান মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদানও ছিল তার। মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী বাংলাদেশে (১৯৭২) জাতীয় কৃষকলীগের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। পরে একই বছরে জাসদ প্রতিষ্ঠা হলে সেখানে প্রতিষ্ঠাতা সহ-সভাপতি হন। ১৯৮৬ সালে জাসদের সাধারণ সম্পাদক এবং ২০০২ জাসদের সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৪ দল ও মহাজোট গঠনেও তার অগ্রণী ভূমিকা ছিল।

Advertisement

ইনু ২০০৮ থেকে টানা তিনবার ১৪ দলের প্রার্থী হিসেবে নৌকা মার্কা নিয়ে কুষ্টিয়া-২ আসন (ভেড়ামারা-মিরপুর) থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এ সরকারের প্রথম মেয়াদের একাংশ ও দ্বিতীয় মেয়াদে তথ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তৃতীয় মেয়াদে (বর্তমানে) তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি, আসন বণ্টন ও পরিস্থিতি এবং নির্বাচনের কৌশল নিয়ে তার সঙ্গে কথা বলেছে জাগো নিউজ। সাক্ষাৎকারে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, আসন্ন নির্বাচনে কৌশল করতে গিয়ে একটা বিপজ্জনক ফাঁদের ভেতরে পড়ে যাচ্ছেন। দলে বিশৃঙ্খলা তৈরি হওয়ার শঙ্কা দেখছেন। বিরোধীদের হাতে আরও শক্ত অস্ত্র তুলে দিচ্ছি কি না, ভাবতে জোটনেতাদের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

সাক্ষাৎকার নিয়েছেন জাগোনিউজের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক সালাহ উদ্দিন জসিম।

Advertisement

জাগো নিউজ: ১৪ দলীয় জোট আসন ভাগাভাগি নিয়ে বসেছে। ফলাফল কী, আপনারা সন্তুষ্ট কি না?

হাসানুল হক ইনু: এটা নিয়ে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। কথা চলছে। এখনই বলা মুশকিল। যার যত আসন আছে, সেখান থেকে একটু বাড়াবে। তবে বাড়ানোর মাত্রা তো ঠিক নেই। যেখানে আছি, সেখান থেকে বাড়লে মনটা খুশি হবে। আমার কর্মীরা খুশি হবে। দল খুশি হবে। জোট শক্তিশালী হবে।

আসন বণ্টন যদি সম্মানজনক না হয়, যদি কম আসন পায়, তাহলে ১৪ দলীয় জোটের অভ্যন্তরে এর নীতিগত মেন্টাল ক্ল্যাশ হচ্ছে না। নীতিগত জায়গাটা ঠিক থাকছে। কিন্তু দলে এর প্রভাব পড়ছে। এতটুকু প্রভাব পড়ছে যে, দলের কর্মীরা হতাশ হচ্ছে, নিরুৎসাহিত হচ্ছে এবং মন ভেঙে যাচ্ছে।

এই মন ভাঙা কর্মীদের নিয়ে আমরা ১৪ দলীয় জোট লড়াই করছি রাজাকারমনস্ক বিএনপি-জামায়াত চক্রের বিরুদ্ধে। তাদের রাজনীতির অঙ্গন থেকে চিরবিদায় জানানোর শেষ লড়াইয়ের জন্য মুখিয়ে আছি। এমন অবস্থায় নিরুৎসাহিত, হতাশ কর্মী বাহিনী দিয়ে এবং মানসিকভাবে বিধ্বস্ত দল দিয়ে তো এই লড়াইটা চালাতে পারবো না আমরা।

Advertisement

আমরা নীতিগত ঐক্য করেছি। কিন্তু আসন ভাগাভাগিতে যদি আমাদের কম আসন দেওয়া হয়, অসম্মানজনক অবস্থানে থাকি তাহলে আওয়ামী লীগের পাশে শরিক দল হিসেবে জঙ্গিবাদ সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে লড়াইটা তো ভালোভাবে চালাতে পারবো না। আমাদের অতটুকু প্রতিনিধি সংসদে থাকা দরকার, মন্ত্রিপরিষদের থাকা দরকার, যাতে দল ও কর্মীরা উৎসাহিত হয় এবং সংসদ জীবন্ত থাকে।

লড়াইটা কেবল রাজপথে তো না। সংসদের ভেতরে তো সাম্প্রয়ায়িক, জঙ্গিবাদী দেশি-বিদেশি চক্রের বিরুদ্ধে চরম লড়াই চালাতে হবে। আগামী দিনগুলোতে যে সংকট আসছে, সেটা মোকাবিলায় ভূমিকা রাখতে হবে। এই লড়াই তো একার লড়াই না, সবার লড়াই। সেই সবার লড়াইয়ে ১৪ দল সংসদে সরব থাকবে, মন্ত্রিপরিষদে অংশ নেবে এবং রাজপথেও উৎসাহের সঙ্গে কর্মীরা অংশ নেবে।

জাগো নিউজ: শোনা যাচ্ছে জোটের আসনসহ সব জায়গায় স্বতন্ত্র প্রার্থী থাকবে, তাতে আপনাদের জিতে আসার সম্ভাবনা কতটুকু বা এটাকে আপনারা কীভাবে দেখছেন?

হাসানুল হক ইনু: আপনি আসন দিচ্ছেন, আমরা খুশি হলাম। পরে দেখি, আওয়ামী লীগের অনেক বড় নেতা স্বতন্ত্রের নামে সেখানে লড়াই করছে। আওয়ামী লীগ বনাম জাসদ, আওয়ামী লীগ বনাম ওয়ার্কার্স পার্টি বা আওয়ামী লীগ বনাম তরিকত ফেডারেশন হয়ে যাচ্ছে। তাহলে আমাদের জোটের যে নীতি, সেই নীতি তো মার খাচ্ছে এই নির্বাচনে। এটা অরুচিকর ব্যাপার।

পরে দেখি, আওয়ামী লীগের অনেক বড় নেতা স্বতন্ত্রের নামে সেখানে লড়াই করছে। আওয়ামী লীগ বনাম জাসদ, আওয়ামী লীগ বনাম ওয়ার্কার্স পার্টি বা আওয়ামী লীগ বনাম তরিকত ফেডারেশন হয়ে যাচ্ছে। তাহলে আমাদের জোটের যে নীতি, সেই নীতি তো মার খাচ্ছে এই নির্বাচনে। এটা অরুচিকর ব্যাপার।

আসন দেওয়ার পরেও আওয়ামী লীগের বড় নেতারা সেখানে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়াই করবে, তাহলে আসনটা দেওয়া হলো না। আমি আশা করি, জোটনেত্রী শেখ হাসিনা ও জোটের সমন্বয়ক; তারা বিষয়গুলো বিবেচনা করবেন। বিএনপি-জামায়াত চক্রের চিরবিদায় জানানোর শেষ লড়াইয়ের মুখে দাঁড়িয়ে এই নির্বাচনে এমনভাবে আসন বণ্টন হোক, যাতে আমরা সম্মানিত হই, আমার দল সম্মানিত হয়, কর্মীরা উৎসাহিত হয় এবং তারা লড়াকু মেজাজ নিয়ে যাতে নির্বাচনের পরে মাঠে থাকতে পারে।

জাগো নিউজ: ৩২ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী নেই। সেখানে নৌকা মনোনীত প্রার্থী হলো- মন্ত্রীপরিষদের সদস্য বা আওয়ামী লীগের কোর নেতা। এটা আপনি কীভাবে দেখছেন?

হাসানুল হক ইনু: বর্তমানে মন্ত্রী পর্যায়ে শীর্ষ ৩২ নেতার বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের বড় ধরনের কোনো স্বতন্ত্র প্রার্থী দাঁড়ায়নি। তাই যদি হয়, তাহলে জোটের আসনে আওয়ামী লীগের বড় নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে দাঁড়ানোর অর্থ হচ্ছে, এক হাতে দিয়ে আরেক হাতে সিটটা কেড়ে নেওয়া। আমি মনে করি, জোটকে যদি সম্মানিত করতে হয়- আমাদের মতো দলকে পৃষ্ঠপোষকতা দরকার। যাতে আমরা সম্মানের সঙ্গে লড়াই করতে পারি।

জাগো নিউজ: একই দলের কয়েকজন প্রার্থী- একজন মনোনীত, বাকি চারজন স্বতন্ত্র প্রার্থী। ভোট কিন্তু ভাগ হবে। একটি আসনে কয়েকজন স্বতন্ত্র প্রার্থী থাকায় এটি বুমেরাং হতে পারে, মনে করেন কি না?

হাসানুল হক ইনু: এটা নিয়ে পুনর্মূল্যায়ন করা উচিত। দলীয় প্রার্থী প্রতীক নিয়ে লড়াই করবে। একই দলের স্বতন্ত্র প্রার্থীরা যখন পাল্টা লড়াই করবে সেখানে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ হবে। দল দীর্ঘদিনের জন্য ভাগাভাগিতে পড়ে যাবে। এটা রাজনৈতিক রুচিরও বাইরে। আমি মনে করি এটাকে উৎসাহিত করার দরকার নেই।

এখনো সময় আছে, ১৭ তারিখের আগে প্রত্যাহার করার। আওয়ামী লীগের বড় নেতারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে যে লড়াই করছে, এই লড়াইটা সে দলের জন্য কতটুকু মঙ্গল বয়ে আনবে আমি জানি না। তবে আমি পরিষ্কারভাবে বলতে চাইছি, জোটের প্রার্থীদের এখানে আওয়ামী লীগের বড় কোনো নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী নামে লড়াই করার মানে হচ্ছে- অন্য নামে আওয়ামী লীগ বনাম জাসদের লড়াই বা অন্য নামে আওয়ামী লীগ বনাম ওয়ার্কার্স পার্টির লড়াই।

এই লড়াইয়ের ভেতরে জোটকে ঠেলে দিলে জোটের লক্ষ্য ও নীতিগত অবস্থান ম্লান হয়ে যায়। এই মুহূর্তে এই রাজনৈতিক বিতর্কের ভেতরে আমাদের জোটকে ঠেলে দেওয়া উচিত হবে না। সুতরাং আমি আশা করবো, আওয়ামী লীগের যারা নেতা, তারা যেন জোটের প্রার্থীদের ছেড়ে দেওয়া আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে না থাকে।

জাগো নিউজ: এর আগেও তো বিভিন্ন নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ছিল। যদিও সে সময় দল থেকে বহিষ্কার বা দল থেকে ব্যবস্থা নিয়েছে। এখন তো বিএনপিসহ কয়েকটি দল নির্বাচনে আসেনি। এ অবস্থায় স্বতন্ত্র প্রার্থী ছাড়া আওয়ামী লীগের কী করার আছে?

হাসানুল হক ইনু: অতীতে সব সময় দলীয় শৃঙ্খলা রক্ষা জন্য আমার দল জাসদ, আওয়ামী লীগ বা সব দলেই শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিয়েছে। কথা হচ্ছে- এই নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াত নেই। সেখানে এক দলের পাঁচজন দাঁড় করিয়ে দেশি-বিদেশিদের কাছে কী খবর দিতে চাচ্ছি আমরা? এটা তো দিনের আলোর মতো- বিএনপি-জামায়াত বাইরে, আমরা ভোট করছি।

সুতরাং, একই দলের ১০ জন দাঁড়ালে নির্বাচন নিয়ে কী খবর যাচ্ছে? কোনো নতুন খবর তো যাচ্ছে না। এটা নিয়ে রাজনৈতিকভাবে আমি মনে করি না, আমরা খুব বেশি কিছু হাসিল করতে পারবো। বরং উল্টো দিকে, জোট ও দলের ভেতরে বিশৃঙ্খলা হবে। এই দুটো বিশৃঙ্খলার দিকে দেশকে ঠেলে দিচ্ছি, রাজনৈতিক অঙ্গনটাকে ঠেলে দিচ্ছি। রাজনৈতিকভাবে আমি মনে করি না এই স্বতন্ত্র কৌশলে লাভের কিছু আছে।

আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো- যেখানে আওয়ামী লীগের বড় নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে দাঁড়িয়ে নৌকার প্রার্থীর কাছে পরাজিত হচ্ছেন, তিনি একটা সাংবাদিক সম্মেলন করে বলবেন, ভোটটা সঠিক হয়নি। অন্য পার্টি আঙুল তোলার আগেই নামকরা আওয়ামী লীগ নেতারা আঙুল তুলবেন যে, ভোটটা বেঠিক হয়েছে। তাহলে আমরা দেশি-বিদেশি চক্রান্তকারীদের হাতে সেই হাতিয়ারটা তুলে দিচ্ছি যে, স্বয়ং আওয়ামী লীগ নেতারাই তো বলছে, ভোটটা সঠিক হয়নি।

সুতরাং, একটা বিপজ্জনক ফাঁদের ভেতরে পড়ে যাচ্ছি আমরা। আপনি হয়তো বলবেন, ঠিক আছে প্রতিযোগিতা হচ্ছে। কিন্তু দিনের শেষে যখন এই অভিযোগটা উত্থাপন করে বসবে অথবা নৌকার প্রার্থী যিনি স্বতন্ত্রের কাছে পরাজিত হবেন, তিনিও বলবেন ভোটটা সঠিক হয়নি। তখন তো সেই বিএনপি-জামায়াতের সুরেই কথাটা এলো যে, এই আমলে ভোটটা সঠিক হয় না।

আমি মনে করি, সব দিক থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থীর প্রস্তাবটা রাজনৈতিক ফাঁদের মতো মনে হচ্ছে, যা এই নির্বাচনকে বৈধতা দিতে কতটুকু উপকার করবে জানি না। তবে বিপদের ভেতরে ঠেলে দিতে পারে। একই দলের স্বতন্ত্র প্রার্থীদের বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করা দরকার। আমি চাই না, আগামী নির্বাচনে ওয়ার্কার্স পার্টি বনাম আওয়ামী লীগ বা আওয়ামী লীগ বনাম জাসদের রাজনৈতিক লড়াই পত্রিকায় ভেসে উঠুক।

এবারও আওয়ামী লীগ যাদের মনোনয়ন দিয়েছে, তার সবাই কি জিতবে? স্বতন্ত্র প্রার্থী কয়েকজনের কাছে হারবে না? তাহলে কী সে ইলেক্টেবল ক্যান্ডিডেট না? এটা বলে ঠেস মারা ঠিক নয়। জোটের প্রার্থী ইলেক্টেবল কি না, সেটা আলাদা কথা। নৌকা মার্কা বাদ দিয়ে ভোট করে দেখেন কেমন লাগে!

জাগো নিউজ: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেছেন, কেউ যদি ইলেকটেবল না হয়, তাহলে তাকে মনোনয়ন দিলে তো আমাদেরই লস। জোটের একটা সিট হারালো! আপনি কী বলবেন?

হাসানুল হক ইনু: দেখুন, আমি কোনো নির্মম কথা বলতে চাই না। আমাদের জোটের শরিক দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বীর মুক্তিযোদ্ধা, অত্যন্ত পোড় খাওয়া রাজনীতিবিদ। আমি তার প্রতি সম্মান রেখেই বলবো- দীর্ঘ নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় আওয়ামী লীগ, জাসদসহ আমরা যারা মনোনয়ন দিই সেই মনোনয়ন দেওয়ার পরে সবাই জেতে না। আমরা যখন মনোনয়ন বোর্ডে বসি, তখন তো ধরে নেই তিনি জিতবেন।

কিন্তু ৯১ সালের পরে যতগুলো নির্বাচন হয়েছে, সেগুলো যদি দেখেন আওয়ামী লীগ একবার সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়েছে। আবার এমনও হয়েছে একশর নিচে বিজয়ী হয়েছে, আড়াইশো হেরে গেছে। মনোনয়ন যিনি দিলেন, তিনি তো ধরেই নিয়েছেন, ইলেক্টেবল ক্যান্ডিডেট। তাহলে মনোনয়নদাতা ভুল করলেন, নাকি প্রার্থী ভুল করলেন? সুতরাং, এই যে কথাটা (তিনি বললেন) রাজনৈতিকভাবে আমার মনে হয় সমীচীন নয়।

ভালো প্রার্থী দিয়েছি, সে বিজয়ী হবে, তার নিশ্চয়তা আজ পর্যন্ত কোনো মনোনয়ন বোর্ড দিতে পারেনি। কারণ, বহু নামকরা প্রার্থী মনোনয়ন দেওয়ার পরও হেরে গেছে। এবারও আওয়ামী লীগ যাদের মনোনয়ন দিয়েছে, তার সবাই কি জিতবে? স্বতন্ত্র প্রার্থী কয়েকজনের কাছে হারবে না? তাহলে কী সে ইলেক্টেবল ক্যান্ডিডেট না? এটা বলে ঠেস মারা ঠিক নয়। জোটের প্রার্থী ইলেক্টেবল কি না, সেটা আলাদা কথা। নৌকা মার্কা বাদ দিয়ে ভোট করে দেখেন কেমন লাগে!

জাগো নিউজ: স্বতন্ত্র প্রার্থী দাঁড়াতে যারা প্রথমবার নির্বাচন করবে- তাদের ১ শতাংশ ভোটারের সমর্থন লাগবে, এই ভোটারের নাম আইডিসহ স্বাক্ষর নিয়ে জমা দিতে হয়। এটা কতটা সংবিধানসম্মত? এই ইস্যুটা কতটা রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে?

হাসানুল হক ইনু: এক শতাংশ ভোটারের প্রস্তাবের এই আইনটা ১/১১ এর সময়ে করা হয়েছিল। এই আইনটা পুনর্বিবেচনা করা হয়নি। যে কোনো প্রার্থী যদি দলের মনোনয়ন পেলেই দাঁড়াতে পারে, দলের বাইরের একজন ব্যক্তি কেন পারবে না? সংবিধানে বলা আছে, ২৫ বছরের বয়সী নাগরিক সংসদ সদস্য হওয়ার যোগ্যতা রাখে, যদি তিনি পাগল বা সাজাপ্রাপ্ত আসামি না হন। এখন তো আর সময় নেই। তবে আগামীতে যারা আসবে, আমার মনে হয় আইনটা নির্বাচন কমিশনের পুনর্বিবেচনা করা উচিত।

এসইউজে/এএসএ/জেআইএম