মানিকগঞ্জ-৩ (সদর ও সাটুরিয়া) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের আয় ও অস্থাবর সম্পদ দুটোই বেড়েছে। বছরে তিনি আয় করেন আট কোটি ২৯ লাখ ৯৭ হাজার ২৫ টাকা। মন্ত্রীর স্থাবর সম্পদ অপরিবর্তিত থাকলেও কমেছে স্ত্রীর। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জমা দেওয়া হলফনামা বিশ্লেষণ করে এতথ্য পাওয়া গেছে।
Advertisement
মানিকগঞ্জ-৩ আসনে পঞ্চমবারের মতো নৌকার প্রার্থী হয়েছেন জাহিদ মালেক। তিনি স্নাতকোত্তর পাস। হলফনামায় পেশা হিসেবে উল্লেখ করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী।
২০১৮ সালে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বার্ষিক আয় ছিল দুই কোটি ২০ লাখ ৮৩ হাজার ২১১ টাকা। ২০২৩ সালের হলফনামায় তিনি আয় দেখিয়েছেন আট কোটি ২৯ লাখ ৯৭ হাজার ২৫ টাকা। বর্তমানে বাড়ি, অ্যাপার্টমেন্ট, দোকান ও অন্যান্য ভাড়া থেকে আয় কমলেও আয় বেড়েছে ব্যবসা এবং শেয়ার, সঞ্চয়পত্র বা ব্যাংক আমানত থেকে। ২০১৮ সালের হলফনামায় জাহিদ মালেক হাতে নগদ টাকা দেখিয়েছিলেন দুই লাখ ৬২ হাজার টাকা। এবার তা বেড়ে হয়েছে ৬৪ লাখ ১১ হাজার ৮৩৫ টাকা। রয়েছে ৬৭ হাজার ৯৯৬ টাকার ডলার। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা অর্থের পরিমাণ বেড়েছে কয়েকগুণ।
পাঁচ বছর আগে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে তার জমাকৃত অর্থের পরিমাণ ছিল তিন কোটি ৫৭ লাখ ৪৯ হাজার ২০ টাকা। এবার তার পরিমাণ দেখিয়েছেন ১৫ কোটি ৫৭ লাখ ৯৯ হাজার ৪৬৮ টাকা।
Advertisement
তবে জাহিদ মালেকের স্ত্রীর নামে সম্পদ কমেছে। ২০১৮ সালে স্ত্রীর নামে তিন কোটি ৬ লাখ ৯৩ হাজার ৫০০ টাকার কোম্পানি শেয়ার ও ৭৫ হাজার টাকা মূল্যের একটি ফ্ল্যাট দেখানো হলেও এবার ৫৫ ভরি সোনা ছাড়া স্ত্রীর নামের কোনো সম্পদ দেখানো হয়নি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রীর কোনো ইলেকট্রনিকস সামগ্রী নেই। ২০১৮ সালে ৭০ হাজার টাকার আসবাবপত্র দেখানো হয়েছিল। এবারও আসবাবপত্রের মূল্যের টাকার অংকটা রয়েছে একই। হলফনামায় অস্থাবর সম্পদ হিসেবে বাস, ট্রাক, মোটরগাড়ি ও মোটরসাইকেল ইত্যাদির কলামে দুই কোটি ৪৮ লাখ ৬ হাজার ৪৭৭ টাকা লেখা হলেও যানবাহনের বিবরণ দেওয়া হয়নি। ২০১৮ সালে এ টাকার পরিমাণ ছিল এক কোটি ৪ লাখ ৮৬ হাজার ৪৭৭ টাকা।
হলফনামার তথ্য অনুযায়ী, পাঁচ বছরে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ২৮ কোটি ২ লাখ ১৩ হাজার ৮১৪ টাকার অস্থাবর সম্পদ বেড়েছে। তবে স্থাবর সম্পদের কোনো পরিবর্তন হয়নি। স্ত্রীর সম্পদ নামে ২ দশমিক ৫ কাঠার জমি এবার নির্ভরশীলদের নামে স্থানাস্তর করা হয়েছে।
২০১৮ সালে জাহিদ মালেকের কোনো ঋণ না থাকলেও এবার মার্কেন্টাইল ব্যাংক লিমিটেড, সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার ও কমার্স ব্যাংক লিমিটেডের কাছে এক কোটি ৭৩ লাখ ৭৭ হাজার ৭৯ টাকার দায় রয়েছে।
Advertisement
বি এম খোরশেদ/এসআর/জিকেএস