স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলামের গত পাঁচ বছরে সম্পদ বেড়েছে আড়াই গুণ। আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে কুমিল্লা-৯ (লাকসাম-মনোহরগঞ্জ) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী তিনি।
Advertisement
হলফনামা পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, মন্ত্রী বার্ষিক আয় করেন চার কোটি ১৭ লাখ ৭২ হাজার ৭৯৯ টাকা। বাড়ি, দোকান ও অ্যাপার্টমেন্ট ভাড়া থেকে আয় এক কোটি ৬৯ লাখ ৯৩৯ টাকা। শেয়ার, সঞ্চয়পত্র ও ব্যাংক আমানত থেকে আয় এক কোটি ৬৩ লাখ ৮৯ হাজার ২৭৭ টাকা। তার অস্থাবর সম্পদ ৯৭ কোটি ১৩ লাখ ৩ হাজার ৩৬৪ টাকার। এরমধ্যে রয়েছে ৮০ কোটি টাকার বন্ড ও পাঁচ কোটি ২৩ লাখ ১১ হাজার ২৩০ টাকার শেয়ার। নগদ টাকা আছে আট লাখ ৫২ হাজার ৭৭০ টাকা।
স্থাবর সম্পদ রয়েছে ২১ কোটি ৫৬ লাখ ৩৫ হাজার ৫৬৪ টাকার। এরমধ্যে রয়েছে বাণিজ্যিক দালান, বাড়ি, অ্যাপার্টমেন্ট, চা বাগান, রাবার বাগান, মৎস্য খামার ইত্যাদি। সবগুলোর মূল্য দেখানো হয়েছে অর্জন করার সময়ের। কৃষিজমি আছে এক কোটি ৫১ লাখ ৫৯ হাজার ৯২৫ টাকার। মন্ত্রীর মোট সম্পদ ১১৮ কোটি ৬৯ লাখ ৩৮ হাজার ৯২৮ টাকার। হলফনাম তথ্য অনুসারে মন্ত্রীর বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে (২০১৮) হলফনামা অনুসারে মন্ত্রীর আয় ছিল চার কোটি ৩৮ লাখ পাঁচ হাজার ২২১ টাকা। ওইবছর সবচেয়ে বেশি আয় করেছেন শেয়ার, সঞ্চয়পত্র ও ব্যাংক আমানত থেকে, যার পরিমাণ দুই কোটি ৯৪ লাখ পাঁচ হাজার ৩৩১ টাকা। বাড়ি, দোকান, অ্যাপার্টমেন্ট ভাড়া থেকে আয় করেন ২২ লাখ ৬৫ হাজার ১৩২ টাকা।
Advertisement
তৎকালীন অস্থাবর সম্পদ ছিল ২৮ কোটি ৩৬ লাখ ৯২ হাজার ৯৩১ টাকার। বন্ড তিন কোটি ৮২ লাখ টাকা। শেয়ার ছিল ১৬ কোটি ৬৬ লাখ ৪১ হাজার ৭৩০ টাকার। আর এক কোটি ৮৯ লাখ চার হাজার ৩৪৪ টাকার পরিবহন।
জাহিদ পাটোয়ারী/এসআর/জেআইএম