স্বাস্থ্য

দেশে প্রতিবছর শিশু জন্মদানে ৪ হাজার মায়ের মৃত্যু হয়

পরিবার কল্যাণ সেবা ও প্রচার সপ্তাহে নিরাপদ মাতৃত্ব, পরিকল্পিত পরিবার, স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে বলে উল্লেখ করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি জানান, বাংলাদেশে প্রতি বছর ৬৫ হাজার শিশু মারা যায়, আর শিশু জন্মদানের সময় প্রায় সাড়ে ৪ হাজার মা মারা যান। গত বছরের তুলনায় এ বছর কিছুটা কমেছে। তবে নিরাপদ মাতৃত্ব শতভাগ নিশ্চিত করতে হবে। এটাই আমাদের লক্ষ্য।

Advertisement

বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টায় রাজধানীর বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব কনভেনশন হলে আয়োজিত পরিবার কল্যাণ সেবা ও প্রচার সপ্তাহ অনুষ্ঠান উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

জাহিদ মালেক বলেন, বাল্যবিয়ে বন্ধ করতে হবে। আমাদের দেশে এখনো ৫০ শতাংশ বাল্যবিয়ে হয়। বাল্যবিয়ের কারণে নিরাপদ মাতৃত্ব নিশ্চিত করা যাচ্ছে না। সরকার এ বিষয়ে যথেষ্ট পদক্ষেপ নিয়েছে। শিশু ও মাতৃ মৃত্যুর হার অর্ধেকে নেমে এসেছে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, কমিউনিটি হাসপাতালে পর্যাপ্ত লোকবল, ওষুধ ও সরঞ্জাম নিশ্চিত করতে হবে, পাশাপাশি মায়েদেরও এসব বিষয়ে অবহিত হতে হবে। গর্ভকালীন সময়ে মায়ের প্রতি যথাযথ যত্ন নিতে হবে। তাদের নিরাপদ খাবার ও যত্ন দিতে হবে। কিশোরীদের যথাসময়ে টিকা দিতে হবে। ডেলিভারিতে সি সেকশন কমিয়ে নরমাল ডেলিভারি করাতে হবে।

Advertisement

সরকারের অবদানের প্রধান একটি অংশ স্বাস্থ্যখাতে হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্যখাতে সরকার এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করেছে। ভ্যাকসিনেশনের জন্য প্রধানমন্ত্রী বিশেষ সম্মাননা পেয়েছেন, যার অবদান এ স্বাস্থ্যখাতের। কিডনি ও লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্ট এখন আমাদের দেশেই হচ্ছে।

সভাপতির বক্তব্যে স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মো. আজিজুর রহমান বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা-৩ অর্জনে তথা মাতৃ ও শিশু মৃত্যু রোধে সেবা ও প্রচার সপ্তাহ-২০২৩ ব্যাপক কার্যকরী ভূমিকা পালন করবে।

অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য দেন পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সাহান আরা বানু।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব জাহাঙ্গীর আলম, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. শারফুদ্দিন আহমেদ, ইউএনএফপি বাংলাদেশের রিপ্রেজেনটেটিভ ক্রিস্টিন ব্লকহুস, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল বাসার মো. খুরশিদ আলম, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক মো. টিটু মিঞা, নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মাকসুরা নূর।

Advertisement

এএএম/এমআইএইচএস/জেআইএম