হবিগঞ্জ-৪ (মাধবপুর-চুনারুঘাট) আসনে টানা দুবারের আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মো. মাহবুব আলী। ২০১৮ সালের নির্বাচনে জয় লাভের পর তিনি হয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী। এবারও দলের মনোনয়ন পেয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী হয়েছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে আলোচিত ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।
Advertisement
এদিকে গত ১০ বছরে প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট মো. মাহবুব আলী আয় ও সম্পদ বেড়েছে ৮ গুণ। তার স্ত্রীর আয়ের উৎস না থাকলেও সম্পদ বেড়েছে সাড়ে ২৫ গুণ। আগে নির্ভরশীলদের কোনো সম্পদ না থাকলেও এবার তাদের নামে আছে পৌনে ২ কোটি টাকা। সম্পদের তালিকায় এবার নতুন করে যুক্ত হয়েছে চা বাগান, রাবার বাগান ও মৎস্য খামার। ২০১৪ ও ২০২৩ সালে মনোনয়নপত্রের সঙ্গে নির্বাচন কমিশনে দেওয়া তার হলফনামা পর্যালোচনা করে এসব তথ্য জানা যায়।
২০১৪ সালের নির্বাচনে হলফনামায় অ্যাডভোকেট মো. মাহবুব আলী উল্লেখ করেন, নিজের বাৎসরিক আয় ৮ লাখ ৫৮ হাজার ১৫৮ টাকা। যার মধ্যে কৃষি থেকে ৫৫ হাজার ৬০০ টাকা, বাড়িভাড়া ১ লাখ ৬০ হাজার ৫৫৮ টাকা এবং আইন পেশায় ৬ লাখ ৪২ হাজার টাকা। অস্থাবর সম্পত্তি ছিল ১৯ লাখ ৩৬ হাজার ২৪৭ টাকার। এর মধ্যে নগদ ৭ হাজার ২০৫, ব্যাংকে জমা ৬ লাখ ৬৩ হাজার ৪২, মটরগাড়ি ১০ লাখ, ইলেকট্রিক পণ্য ১ লাখ, আসবাবপত্র ১ লাখ টাকার। এর বাইরে স্বর্ণ ছিল ৫০ ভরি। স্থাবর সম্পত্তি ছিল ৩৮ লাখ ৮০ হাজার টাকার। এর মধ্যে কৃষি জমি ৩ লাখ ৬০ হাজার এবং ৪তলা বিশিষ্ট দালান ৩৫ লাখ ২০ হাজার টাকার। স্ত্রীর নামে ব্যাংকে জমা ছিল ৫ লাখ ৬৩ হাজার ৫৬৩ টাকা।
২০২৩ সালের হলফনামায় তিনি উল্লেখ করেন, নিজের বার্ষিক আয় ৩৬ লাখ ১৮ হাজার ৫৮৬ টাকা। এর মধ্যে কৃষি খাতে ৮০ হাজার, বাড়িভাড়া ২ লাখ ২৫ হাজার, ব্যবসা ৭ লাখ ৬৫ হাজার, শেয়ার, সঞ্চয়পত্র, ব্যাংকে জমা ১৪ লাখ ৪৪ হাজার ৫৮৬ টাকা, সংসদ সদস্য হিসেবে প্রাপ্ত ভাতা ১১ লাখ ৪ হাজার টাকা।
Advertisement
অস্থাবর সম্পত্তি হিসেবে দেখানো হয় ৪ কোটি ৩৪ লাখ ৯ হাজার ১১৮ টাকার। এতে আছে নগদ টাকা ৩ লাখ ৫০০ টাকা, ব্যাংকে জমা ৩ কোটি ১৮ লাখ ৮৮ হাজার ৬১৮ টাকা, দুটি মোটরগাড়ি ১ কোটি ২ লাখ ২০ হাজার, ইলেকট্রিক পণ্য ৫ লাখ, আসবাবপত্র ৫ লাখ টাকার। এর বাইরে আছে ৩০ ভরি সোনা। স্থাবর সম্পত্তি হিসেবে দেখানো হয়েছে ৫০ লাখ ৭২ হাজার ৩৭০ টাকার। এর মধ্যে কৃষি জমি ২৪ বিঘা ৪ লাখ, ৪তলা বিশিষ্ট দালান ৩৬ লাখ, চা বাগান, রাবার বাগান ও মৎস্য খামার ১০ লাখ ৭২ হাজার ৩৭০ টাকার। আর স্ত্রীর আয়ের কোনো উৎস নেই। কিন্তু সম্পদ বেড়েছে ২৫ দশমিক ২৯ গুণ।
অস্থাবর সম্পদ হিসেবে দেখানো হয়েছে ১ কোটি ৭০ লাখ ৫৩৫ টাকা। এর মধ্যে নগদ ১ লাখ ৭০ হাজার ৫০০ টাকা, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা ১ কোটি ১৫ লাখ ৩০ হাজার ৩৫ টাকা, ইলেকট্রিক পণ্য ৫ লাখ, আসবাবপত্র ৫ লাখ টাকা। এর বাইরে আছে ৩০ ভরি সোনা। যা আগে ছিল না। এবার নতুন করে যুক্ত হয়েছে স্থাবর সম্পত্তি। এতে দেখানো হয়েছে ১৫ লাখ ৫০ হাজার ৭০০ টাকার চা বাগান, রাবার বাগান ও মৎস্য খামার আছে। নির্ভরশীলদের নামে আগে কোনো সম্পদ ছিল না। এবার দেখানো হয়েছে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ১ কোটি ৬৭ লাখ ৫৪ হাজার ৫৯৬ টাকা জমা আছে।
সৈয়দ এখলাছুর রহমান খোকন/এসজে/এএসএম
Advertisement