২০৫০ সালের মধ্যে কার্বন নিঃসরণ ৬৮ শতাংশ কমাতে যুক্তরাষ্ট্রসহ ৬০টি দেশ সম্মত হয়েছে। বৈশ্বিক উষ্ণায়নে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
Advertisement
বুধবার (৬ ডিসেম্বর) জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তন সম্মেলনে (কপ ২৮) এ বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। এতে অংশ নেন বিভিন্ন দেশ থেকে আসা নেতারা।
তাদের মতে, এসি বা শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র ও রেফ্রিজারেটর থেকে নির্গত বায়ু এ সমস্যার ক্ষেত্রে ৭ শতাংশ দায়ী। ২০৫০ সাল নাগাদ জলবায়ু সংক্রান্ত এ সমস্যা তিনগুণ হতে পারে। যা বৈশ্বিকভাবে উদ্বেগের কারণ হবে।
আরও পড়ুন: নির্মাণ শিল্পে কার্বন নিঃসরণ কমানোর উপায়
Advertisement
জাতিসংঘের পরিবেশ কর্মসূচি বা ইউএনইপির বৈশ্বিক শীতলতা সংক্রান্ত প্রতিবেদনে উঠে এসেছে শীতলতার পাশাপাশি কীভাবে নির্গমন কমানো যায়।
এতে তিনটি রূপরেখা নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রথমটি হলো, সুশৃঙ্খলভাবে পর্যায়ক্রমে জীবাশ্ম জ্বালানির উৎপাদন বন্ধ করা। দ্বিতীয়টি হলো, অপ্রতিরোধ্য জীবাশ্ম জ্বালানির উৎপাদনকে পর্যায়ক্রমে বন্ধের চেষ্টা ত্বরান্বিত করা। আর তৃতীয়টি হলো, বিকল্প জীবাশ্ম জ্বালানির উৎপাদন বন্ধের বিষয়টি এড়াতে হবে।
আরও পড়ুন: কার্বন নিঃসরণকারী দেশগুলো যা বলছে
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কুলিং ইকুইপমেন্টের বিদ্যুৎ খরচ কমাতে পদক্ষেপ নিলে ২০৫০ সালের মধ্যে কার্বন নিঃসরণ কমপক্ষে ৬০ শতাংশ হ্রাস পাবে। একই সঙ্গে চাপ কমবে এনার্জি গ্রিডের ওপর। এছাড়া ২০৫০ সালের মধ্যে সাশ্রয় হবে ট্রিলিয়ন ডলার।
Advertisement
ইউএনইপির নির্বাহী পরিচালক ইনজার এনডারসেন বলেন, ক্রমবর্ধমান তাপমাত্রা থেকে সবাইকে রক্ষা করতে, খাদ্যের মান ও নিরাপত্তা বজায় রাখতে, ভ্যাকসিনগুলোকে স্থিতিশীল রাখতে শীতলীকরণ খাতকে অবশ্যই বৃদ্ধি করতে হবে। কিন্তু এই বৃদ্ধি অবশ্যই জ্বালানির স্থানান্তর এবং আরও তীব্র জলবায়ু প্রভাবের খরচের হিসাবে কোনো অংশে কম নয়।
আইএইচআর/জেডএইচ/