আন্তর্জাতিক

নারীরা সন্তান নিচ্ছেন না, কাঁদলেন কিম জং উন

উত্তর কোরিয়ার শাসক কিম জং উন কাঁদতে পারেন? তার চোখেও পানি আসে? প্রশ্নগুলোর উত্তর ‘হ্যাঁ’ হওয়াটা অনেকের কাছেই অবিশ্বাস্য মনে হতে পারে। তবে সেই অবিশ্বাস্য ঘটনাটিই ঘটেছে বাস্তবে। সবার সামনে চোখের পানি ঝরিয়েছেন স্বৈরশাসক কিম।

Advertisement

উত্তর কোরিয়ার জনসংখ্যা ক্রমাগত কমে যাচ্ছে। মৃত্যুহারের চেয়ে জন্মহার অনেক কম। এ সংকট কাটাতে নারীদের বেশি বেশি সন্তান নিতে অনুরোধ জানিয়েছেন উত্তর কোরীয় শাসক। আর সেই কথা বলতে গিয়েই কেঁদে দেন তিনি।

আরও পড়ুন>> কিমের মেয়ের নামে কেউ নাম রাখতে পারবে না

সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে কিম জং উনের সেই কান্নার দৃশ্য। ভিডিওতে দেখা যায়, একটি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখার সময় কিমের চোখ দিয়ে অশ্রু ঝরছে। আর তা একটি রুমাল দিয়ে মুছে নিচ্ছেন তিনি।

Advertisement

তবে অনুষ্ঠানে কিম একা কাঁদেননি। তার সামনে উপস্থিত একদল নারীকেও কাঁদতে দেখা যায় ভিডিওতে। যদিও তাদের কান্নাকে ‘সাজানো নাটক’ বলছেন অনেকে।

আরও পড়ুন>> ১১ দিন হাসতে নিষেধ উত্তর কোরিয়ায়

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের খবরে জানা যায়, গত রোববার (৩ ডিসেম্বর) পিয়ংইয়ংয়ে উত্তর কোরীয় মায়েদের নিয়ে বিশাল একটি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশ নেন কয়েক হাজার নারী। উত্তর কোরিয়ায় গত ১১ বছরে এটিই ছিল এ ধরনের প্রথম সম্মেলন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে কিম জং উন বলেন, জন্মহার কমা বন্ধ করা এবং শিশুদের উন্নত যত্ন ও শিক্ষা প্রদান আমাদের পারিবারিক বিষয়, যা মায়েদের সঙ্গে নিয়েই সমাধান করতে হবে।

Advertisement

আরও পড়ুন>> অস্ত্রের নেশায় দুর্ভিক্ষ ডাকছে উ. কোরিয়া

তিনি বলেন, দল ও রাষ্ট্রের কাজ নিয়ে আমার যখন কঠিন সময় যায়, তখনো আমি মায়েদের কথা ভাবি।

উত্তর কোরিয়ার জনসংখ্যা প্রায় আড়াই কোটি। জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিল এবং বিশ্বব্যাংকের হিসাবমতে, ২০২০ সাল থেকে দেশটিতে নারীদের প্রজনন হার জনপ্রতি ১ দশমিক ৭৯ থেকে ১ দশমিক ৮ শিশুতে নেমে এসেছে।

অথচ ষাটের দশকেও উত্তর কোরীয় নারীদের প্রজনন হার ছিল চারের ওপর। তবে জন্মনিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি এবং দুর্ভিক্ষে ব্যাপক প্রাণহানির পর নব্বইয়ের দশকে তা নেমে এসেছিল ২ দশমিক ১-এ।

সূত্র: এনডিটিভি, দ্য টেলিগ্রাফকেএএ/