জাতীয়

এবার ডিবি কার্যালয়ে ভাত খেলেন ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর

বিএনপি থেকে সদ্য বহিষ্কৃত ঝালকাঠি-১ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর বীর উত্তম ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) কার্যালয়ে দুপুরের খাবার খেয়েছেন।

Advertisement

বুধবার (৬ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে ডিবির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদের সঙ্গে ভাত খেয়েছেন তিনি। খাবারের মেন্যুতে ছিল ভাত, মাংস, মাছ, ডাল, সবজি ও ভর্তা।

খাওয়ার পর ডিবিপ্রধান হারুন অর রশীদের সঙ্গে আলাপ করে ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর অভিযোগ দেন। তিনি মূলত সাইবার বুলিংয়ের শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন।

ডিবি কার্যালয় থেকে বেরিয়ে ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর সাংবাদিকদের বলেন, আমি সাইবার বুলিংয়ের স্বীকার হচ্ছি। আমার ছেলে-মেয়ে, স্ত্রী এমনকি আমার জুনিয়র আইনজীবীর ফোনে ফোন করে নানান কথা বলা হচ্ছে। সেই বিষয়টিই হারুন সাহেবকে জানাতে এসেছিলাম।

Advertisement

আরও পড়ুন>> ‘বেইমান-দালাল’ স্লোগানের মুখে সুপ্রিম কোর্ট ছাড়লেন শাহজাহান ওমর

সরকারের সঙ্গে আপস করে জামিন পেয়েছেন কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কাশিমপুরে আপস করে কেমন করে? ২৯ নভেম্বর নরমাল প্রসেসে আমার জামিন হয়েছে। ৩০ নভেম্বর জয়েন করেছি।

‘জামিন আমার এমনিতেও হতো। ৪ নভেম্বর গ্রেফতার হয়েছি, ৬ তারিখে সুপ্রিম কোর্টে জামিনের জন্য আমার আইনজীবী দরখাস্ত জমা দিয়েছিল। কিন্তু জামিন হলো না। পরের তারিখে গেলাম, তখন আমার আইনজীবী আদালতকে বললেন, সঙ্গের তিনজনকে জামিন দেওয়া হয়েছে আমাকে কেন দেওয়া হবে না? এছাড়া আমি চারবারের এমপি, বীর উত্তম খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা। এজন্য আদালত আমাকে জামিন দিয়েছেন।’

তার বিরুদ্ধে নাশকতার মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর বলেন, মামলা হতেই পারে। আমিতো ২৮ অক্টোবর ঘটনার দিন মঞ্চে ছিলাম। এটাতো অস্বীকার করতে পারি না। তাই নাশকতামূলক যে কোনো মামলা হতেই পারে। তদন্তে সংশ্লিষ্টতা পেলে পুলিশ আমার বিরুদ্ধে চার্জশিট দেবে, বিচারের কাঠগড়ায় পাঠিয়ে দেবে।

Advertisement

ইসিতে সাংবাদিকদের সঙ্গে খারাপ আচরণ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর বলেন, এটা ভুল তথ্য। আমার কাছে আচরণবিধি ছিল না, সেটি ইসি থেকে নিয়ে আসছি। সাংবাদিকরা চাইলেই আমার ছবি তুলতে পারেন, কিন্তু অন্তত নূন্যতম একটু বলা উচিৎ। তাদের বলেছি লুকিয়ে এদিক-সেদিক থেকে কেন ছবি তুলবেন? তারা একটু কথা বলে যদি নূন্যতম সৌজন্যবোধ দেখাতেন, তাহলেই হতো। এরমধ্যে ওরা জিজ্ঞাসা করেছে আপনি কেন আসছেন? কোনো কথা না বলেই জিজ্ঞাসা করে কেন আসছেন? তারা ১০০ বার বলতে পারেন, কিন্তু নূন্যতম সৌজন্যতাবোধ যদি দেখান, তাহলে সমস্যা হয় না। কিন্তু কারও সঙ্গে কোনো দুর্ব্যবহার করিনি। সেখানে অনেক সাংবাদিক ছিল, কেমন করে বেরিয়ে যাবো সে চিন্তায় ছিলাম।

এর আগে ডিবিতে আসা প্রসঙ্গে ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর বলেন, কোর্ট থেকে এখানে এসেছি একটা ব্যক্তিগত কারণে। আমি আগে বিএনপি করতাম, এখন আওয়ামী লীগে জয়েন করছি।

টিটি/এমএইচআর/এএসএম