ধর্ম

আজানের পর যে দোয়ায় পাওয়া যায় আল্লাহর ক্ষমা

আজানের সময় অযথা কথাবার্তা না বলে আজান শোনা ও আজানের জবাব দেওয়া অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ আমল। আজানের জবাব দেওয়ার পদ্ধতি হলো মুআজ্জিন যা বলে তা বলা, শুধু ‘হাইয়া আলাস সালাহ, হাই য়ালাস ফালাহ’ বললে এর জবাবে ‘লা হাওলা ওয়ালা কুয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ’ পড়তে হয়। নবিজি (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি দৃঢ় বিশ্বাসের সঙ্গে মুয়াজ্জিন যা বলে তাই বলে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। (সুনানে নাসাঈ)

Advertisement

বিভিন্ন হাদিসে আজানের পর দোয়া করারও ফজিলত বর্ণিত হয়েছে। একটি হাদিসে এসেছে, রাসুল (সা.) বলেছেন, আজান শুনে যে ব্যক্তি নিম্নোক্ত দোয়া পড়ে তাকে ক্ষমা করে দেওয়া হয়:

وَأَنَا أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ رَضِيتُ بِاللَّهِ رَبًّا وَبِمُحَمَّدٍ رَسُولاً وَبِالإِسْلاَمِ دِينًا

উচ্চারণ: ওয়া আনা আশহাদু আল্লা ইলাহা ইল্লা-ল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকা লাহু ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু ওয়া রাসুলুহু রাজিতু বিল্লাহি রাব্বা ওয়া বি মুহাম্মাদিন রাসুলা ওয়া বিলইসলামি দীনা।

Advertisement

অর্থ: এবং আমিও সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, এক আল্লাহ ব্যতীত অন্য কোন ইলাহ নেই। তার কোনো শরিক নেই, মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার বান্দা ও রাসুল, আমি আল্লাহকে রব হিসেবে, মুহাম্মাদকে রাসুল হিসেবে এবং ইসলামকে দীন হিসেবে পেয়ে সন্তুষ্ট। (সুনানে আবু দাউদ)

এ ছাড়া আজানের পর অন্যান্য দোয়াও করা যায়। আজানের পর থেকে একামত পর্যন্ত সময়টুকু দোয়া কবুলের বিশেষ সময়। আনাস ইবনে মালেক (রা.) থেকে বর্ণিত আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, আজান ও ইকামতের মাঝে যে দোয়া করা হয়, তা ফেরত দেয়া হয় না। (সুনানে আবু দাউদ)

ওএফএফ/এএসএম

Advertisement