গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েল সীমান্তে প্রবেশ করে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। সে সময় ১২০০ জন নিহত এবং দুই শতাধিক মানুষকে জিম্মি হিসেবে অপহরণ করা হয়। সম্প্রতি এসব জিম্মিদের মুক্তির বিনিময়ে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় ইসরায়েল এবং হামাস।
Advertisement
৭ দিনের যুদ্ধবিরতিতে ইসরায়েলি কারাগার থেকে ২৪০ জন ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। এর বিনিময়ে হামাস ১১০ জন জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে।
আরও পড়ুন: গাজার শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলের বিমান হামলায় নিহত ৬
এদিকে গাজায় হামাসের কাছ থেকে মুক্তি পাওয়া জিম্মিদের পরিবারের সদস্যরা সম্প্রতি ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। সে সময় মুক্তি পাওয়া জিম্মিদের পরিবারের সদস্যরা নেতানিয়াহুর প্রতি ক্ষোভ ঝেড়েছেন বলে জানা গেছে।
Advertisement
ইসরায়েলি গণমাধ্যমের খবরে ওই পরিস্থিতিকে উত্তেজনাপূর্ণ হিসাবে বর্ণনা করা হয়েছে। সেখানে উপস্থিত বেশ কয়েকজন স্বজন সরকারের কঠোর সমালোচনা করেছেন বলেও জানা গেছে।
বন্দিদের মধ্যে ছিলেন দানি মিরান নামে এক ইসরায়েলি নাগরিকের ছেলে ওমরি। দানি মিরান জানিয়েছেন, তিনি এতটাই বিরক্ত হয়েছিলেন যে তিনি বৈঠকের মাঝখান থেকে উঠে চলে গিয়েছিলেন।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু গাজা থেকে মুক্তি পাওয়া বন্দীদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করলেও সেখানকার বেশিরভাগ মানুষই তার প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
অপরদিকে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি বাহিনীর বিমান হামলায় কমপক্ষে ছয়জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও বেশ কয়েকজন। একটি ভিডিও ফুটেজে একটি ধসে পড়া ভবন দেখা গেছে। সেখানে হামলার পর লোকজনকে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। গত দুই দিনে এ নিয়ে দ্বিতীয় বারের মতো ওই শরণার্থী শিবিরে অভিযান চালালো ইসরায়েলি বাহিনী।
Advertisement
ফিলিস্তিনি বার্তা সংস্থা ওয়াফা জানিয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় ছয়জন নিহত হয়েছে। বেসামরিক প্রতিরক্ষা সূত্রের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্র-ইসরায়েলকে ইরানের হুঁশিয়ারি/ তোমরা হামাসকে ধ্বংস করতে পারবে না
ধ্বংসস্তুপের নিচে আরও বেশ কয়েকজন আটকা পড়ে থাকতে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে। এদিকে খান ইউনিস শহরেও ইসরায়েলি বাহিনীর পৃথক হামলায় হতাহতের খবর জানিয়েছে ওয়াফা।
টিটিএন