পাবনায় ধর্ষণ মামলায় ডা. কামরুজ্জামান নয়নকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) বিকেলে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়।
Advertisement
এক তরুণীর করা ধর্ষণ মামলায় তাকে মঙ্গলবার ভোরে গ্রেফতার করা হয়। ডা. নয়ন পাবনা জেনারেল হাসপাতালের নাক কান গলা রোগ বিশেষজ্ঞ (জুনিয়র কনসালটেন্ট)। তিনি পাবনা সদর উপজেলার ক্যালিকো রাজাপুর গ্রামের মৃত আব্দুল করিমের ছেলে। মামলা সূত্রে জানা যায়, ওই তরুণী পাবনার একটি বেসরকারি ফ্যামিলি হিয়ারিং সেন্টারে চাকরি করেন। ডা. মনিরুজ্জামান নয়ন রোগীদের পরীক্ষার জন্য তার কাছে পাঠাতেন। রোগীর আসা-যাওয়ার মাধ্যমে ডা. নয়নের সঙ্গে তরুণীর ভালো সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সেপ্টেম্বরে ডা. মনিরুজ্জামান স্ত্রী অসুস্থ বলে ওই তরুণীকে রান্নার জন্য বাসায় ডাকেন।
মেয়েটি ডাক্তারের বাসায় গেলেও তার স্ত্রীকে দেখেননি। সেখানে তাকে ধর্ষণ করেন। সেই ধর্ষণের দৃশ্য তিনি মোবাইল ফোনে গোপনে ধারণ করে রাখেন। এরপর থেকে বিভিন্ন সময় ওই ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে বাসায় নিয়ে মেয়েটিকে একাধিকাবার ধর্ষণ করেন। সবশেষ ১১ নভেম্বর সন্ধ্যায় তার বাসায় ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করেন ডাক্তার মনিরুজ্জামান। এ অবস্থায় উপায় না পেয়ে মামলার সিদ্ধান্ত নেন তরুণী।
পাবনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রওশন আলী জাগো নিউজকে বলেন, তরুণী মঙ্গলবার নিজে বাদী হয়ে পাবনা থানায় মামলা করেছেন এবং তার অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার দুপুরে তরুণীর মেডিকেল পরীক্ষা হয়েছে। তবে রিপোর্ট পাওয়া যায়নি। এ নিয়ে তদন্ত শেষে পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে। গ্রেফতার ডা. নয়নকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
Advertisement
পাবনা জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. রফিকুল হাসান জাগো নিউজকে বলেন, কয়েক দিন আগে ডা. নয়ন আমার কাছ থেকে ব্যক্তিগত কাজের কথা বলে ছুটি নিয়েছেন। পরে শুনেছি মঙ্গলবার তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদিকে ডা. নয়নের স্বজনরা অভিযোগ করেন, মেয়েটি পরিকল্পিতভাবে তাকে ফাঁসিয়েছেন।
আমিন ইসলাম জুয়েল/এসজে/এমএস