বরিশাল-১ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী পার্বত্য শান্তি চুক্তি বাস্তবায়ন ও পরিবীক্ষণ কমিটির আহ্বায়ক মন্ত্রী আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহর সম্পদ গত পাঁচ বছরে ১০ গুণেরও বেশি বেড়েছে।
Advertisement
২০১৮ সালের নির্বাচনে তার কাছে নগদ টাকার পরিমাণ ছিল ১৩ লাখ ৭১ হাজার ৭৪ টাকা আর এবারের সংসদ নির্বাচনের হলফনামায় তার নগদ অর্থের পরিমাণই ১ কোটি ৪৭ লাখ ১৯ হাজার ৫০৯ টাকা।
২০১৮ সালের নির্বাচনে আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহর হলফনামায় দেখা যায়, কৃষিখাত থেকে তার বাৎসরিক আয় ২ লাখ ৮৬ হাজার টাকা, বাড়িভাড়া বাবদ আয় ৭ লাখ ৬৩ হাজার ১৯৬ টাকা, ব্যবসা থেকে আয় ২ কোটি ২৯ লাখ ৮০ হাজার ৮৫ টাকা, নগদ অর্থ ১৩ লাখ ৭১ হাজার ৭৪ টাকা, ব্যাংকে জমা ২ কোটি ৭৯ লাখ ২২ হাজার ৫৮৯ টাকা, শেয়ার বাজারে বিনিয়োগকৃত অর্থের পরিমাণ ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা, একটি প্রাইভেট কার ও একটি জিপ ৭৯ লাখ ২৭ হাজার ৫৫৯ টাকা, ১০০ ভরি স্বর্ণ, ইলেকট্রনিক ও আসবাবপত্র ২ লাখ টাকা, কৃষি জমি ২০ একর, অকৃষি জমি ৪০ একর এবং ১ কোটি ৮১ লাখ ৪৫ হাজার ২৮৫ টাকা মূল্যের একটি দালান আছে নিজ নামে।
এছাড়া স্ত্রীর নামে নগদ অর্থ আছে ১ কোটি ৯৯ লাখ ৮৬ হাজার ৫৮৪ টাকা, ব্যাংকে জমা ১ কোটি ২ লাখ টাকা, শেয়ার ৮ লাখ টাকা, ১৮ লাখ টাকার একটি কার, সোনা ৬০ তোলা, ১ লাখ টাকার আসবাবপত্র ও অকৃষি জমি ৫২ ডেসি মাইল।
Advertisement
তবে ২০২৩ সালের হলফনামায় হাসানাত উল্লেখ করেছেন, কৃষিখাত থেকে তার বাৎসরিক আয় ৩ লাখ ৩৪ হাজার টাকা, ব্যবসা থেকে ৩ কোটি ৩৬ লাখ ৫৩ হাজার ৭৫৩ টাকা, শেয়ার, সঞ্চয় পত্র ও ব্যাংক আমানত ৬৫ লাখ ৩ হাজার ৮৯৮ টাকা, চাকরি থেকে আয় ১২ লাখ ৬০ হাজার টাকা, নগদ অর্থ আছে ১ কোটি ৪৭ লাখ ১৯ হাজার ৫০৯ টাকা, ব্যাংকে জমাকৃত অর্থের পরিমাণ ২৫ কোটি ৯৪ লাখ ৯৬ হাজার ৮৯ টাকা, শেয়ার রয়েছে ৫১ লাখ ৮০ হাজার টাকা, সঞ্চয়পত্র ৩ কোটি ৮১ লাখ ৫০ হাজার টাকা, ১ কোটি ৭৪ লাখ ৩৫ হাজার টাকার দুটি জিপ, ৫০ ভরি সোনা, আসবাবপত্র ২ লাখ টাকা, কৃষি জমি ১৭ একর, অকৃষি জমি ৪১ একর, ঢাকার কলাবাগানে একটি দালান যার মূল্য ৮৯ লাখ ১১ হাজার ৫৭৫ টাকা। তার জামানতবিহীন ঋণ আছে ৫ কোটি ৬০ লাখ ৯০ হাজার টাকা।
এবারের নির্বাচনে হাসনাত তার হলফনামায় ১০টি মামলার কথা উল্লেখ করেছেন। তবে ১০টি মামলায় তিনি অব্যাহতি ও খালাস দেখিয়েছেন।
শাওন খান/এসজে/জেআইএম
Advertisement