ধর্ম

মিথ্যা মামলা ও সাক্ষ্য দেওয়ার শাস্তি

উম্মে সালামা (রা.) বলেন, একদিন নবিজি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ঘর থেকে বের হয়ে দেখলেন একদল লোক উঁচু গলায় তাদের মধ্যকার একটা সমস্যা নিয়ে বিবাদ করছে। রাসুল (সা.) বললেন, আপনারা আমার কাছে ঝগড়া বিবাদ সমাধানের উদ্দেশ্যে আসেন।

Advertisement

আমিও একজন মানুষ। আপনাদের অনেকে অন্যের তুলনায় নিজের যুক্তি-প্রমাণ পেশ করায় বেশি পারঙ্গম। আমি তার কথা শুনে প্রভাবিত হয়ে তার অনুকূলে ফয়সালা করে ফেলতে পারি। বিচারের ফয়সালায় কাউকে তার ভাইয়ের প্রাপ্য কোনো অংশ দিয়ে দেওয়া হলে সে যেন তা গ্রহণ না করে। সেটা একটা আগুনের টুকরা ছাড়া কিছুই নয়। (সহিহ মুসলিম)

আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) বলেন, আমি আল্লাহর রাসুলকে (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তির সুপারিশ আল্লাহ তাআলার কোনো দণ্ড কার্যকর করার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধক হয়, সে যেন আল্লাহ তাআলার সাথে দ্বন্দ্বে অবতীর্ণ হলো। যে ব্যক্তি জেনে বুঝে কোনো অন্যায় বা অপকর্মের পক্ষে বিবাদ করে, সে ওই কাজ থেকে বিরত না হওয়া পর্যন্ত আল্লাহ তাআলা তার ওপর ক্রুদ্ধ ও অসন্তুষ্ট থাকেন। যে ব্যক্তি কোনো মুমিনকে এমন কোনো দোষে অভিযুক্ত করে যা তার মধ্যে নেই, সে যদি তার অভিযোগ প্রত্যাহার করে নিজেকে মুক্ত ও পবিত্র না করে, আল্লাহ তাকে জাহান্নামীদের দূষিত রক্ত ও পুঁজের মধ্যে নিয়ে ফেলবেন। (সুনানে আবু দাউদ, মুসনাদে আহমদ)

ওএফএফ/এমএস

Advertisement