ঘূর্ণিঝড় মিগজাউম এখনো স্থলভাগে আছড়ে পড়েনি। মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুর নাগাদ ঘূর্ণিঝড়টি ভারতের অন্ধপ্রদেশ ও তামিলনাড়ুতে আছড়ে পড়ার কথা। তবে তার আগেই প্রবল বৃষ্টি শুরু হয়েছে তামিলনাড়ুতে। সেই বৃষ্টিতে বেহাল দশা চেন্নাইয়ের।
Advertisement
পানিতে ডুবে গেছে শহরের বিশাল এলাকা। পানির স্রোতে ভেসে গেছে বহু গাড়ি। বৃষ্টিপাতের জেরে সোমবার ছুটি ঘোষণা করেছে তামিলনাড়ু সরকার। বেসরকারি সংস্থাগুলোকেও কর্মীদের বাড়ি থেকে কাজের অনুমতি দিতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন>> ভারতে বজ্রপাতে ২০ জনের মৃত্যু
বৃষ্টির কারণে চেন্নাই বিমানবন্দর কয়েক ঘণ্টা বন্ধ ছিল প্লেন ওঠানামা। প্রতিকূল পরিবেশের কারণে অন্তত ১২টি প্লেনকে বেঙ্গালুরুতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বাতিল হয়েছে চারটি আন্তর্জাতিক ফ্লাইট।
Advertisement
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, মঙ্গলবার দুপুরে ঘূর্ণিঝড়টি দক্ষিণ অন্ধ্রপ্রদেশে আছড়ে পড়তে পারে। তারপর তা উত্তর তামিলনাড়ুর দিকে যাবে। তখন সেখানে হাওয়ার গতিবেগ থাকবে ১০০ কিলোমিটারের মতো।
Cyclone Michuang effect in Chennai. Stay Safe ! ( - @balavittoba) pic.twitter.com/f1HpxOrrtS
— Indian Tech & Infra (@IndianTechGuide) December 4, 2023যে জায়গায় ঝড়টি আছড়ে পড়ার কথা, তা চেন্নাই থেকে ১৭০ কিলোমিটার দূরে। তবে তার আগেই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে অঞ্চলটিতে ব্যাপক বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। সেখানে একটি নতুন তৈরি হওয়া দেওয়াল ধসে দুজন মারা গেছেন।
আরও পড়ুন>> ভয়াবহ বন্যার কবলে কেনিয়া, নিহত শতাধিক
Advertisement
উপকূলীয় জেলাগুলোতে দুর্গতদের সহায়তার জন্য অন্তত পাঁচ হাজার ত্রাণকেন্দ্র খোলা হয়েছে। রাজ্যের সার্বিক পরিস্থিতিতে নিবিড় নজর রাখছেন মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিন।
চেন্নাইয়ের বহু রাস্তা পানিতে তলিয়ে গেছে। অনেক জায়গায় গাড়ি প্রায় ডুবে গেছে। জনজীবন পুরো স্তব্ধ হয়ে গেছে।
চেন্নাই পৌর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ভোর থেকে ৩৪০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। তাই খুব জরুরি দরকার ছাড়া কেউ যেন বাড়ির বাইরে না বের হন। খাবার দরকার হলে যেন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।
সূত্র: ডয়েচে ভেলে, এনডিটিভিকেএএ/