আইন-আদালত

‘মনে হচ্ছে, সরকারি চাকরি করে আমরা নৈতিক শৃঙ্খলাজনিত অপরাধ করেছি’

সরকারি কর্মকর্তারা অবসরে যাওয়ার তিন বছরের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না বলে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। তিন বছর অতিক্রম হলে পরে সংসদ সদস্য পদে নির্বাচন করতে পারবেন। কিন্তু ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবেন বলে জানিয়েছেন রিটকারী অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার শামীম কামাল। তাৎক্ষণিক এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানান।

Advertisement

সোমবার (৪ ডিসেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি নাঈমা হায়দার ও বিচারপতি জিনাত হকের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই রায় ঘোষণা করেন।

শামীম কামাল বলেন, মনে হচ্ছে সরকারি চাকরি করে আমরা দেশের জন্যে নৈতিক শৃঙ্খলাজনিত অপরাধ করেছি। সে কারণে আমাদের জন্য তিন বছরের একটি নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। আমি এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবো।

অবসরপ্রাপ্ত এই সেনা কর্মকর্তা আরও বলেন, আমরা ১৯ জানুয়ারি রিটটি করি। এর শুনানি শেষ হয় ২৯ নভেম্বর। যেখানে ৩০ নভেম্বর ছিল মনোনয়ন দাখিলের শেষদিন। এটি সম্পূর্ণ ইঙ্গিতপূর্ণ। আমরা যেন নির্বাচনে অংশ নিতে না পারি তার বন্দবস্ত করা হয়েছে।

Advertisement

আরও পড়ুন: অবসরের তিন বছরের মধ্যে নির্বাচন করতে পারবেন না সরকারি কর্মকর্তারা

তিনি বলেন, এখন যখন উৎসবমুখর সময়ে সবাই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে, আমরা সেখানে আদালতের দ্বারে দ্বারে ঘুরছি ন্যায়বিচারের জন্য। এটি খুবই দুঃখজনক। কি বিচিত্র এই দেশ।

সরকারি চাকরি থেকে অবসরের তিন বছরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন করা যাবে না- গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) এমন বিধান কেন সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হবে না তা জানতে চেয়ে ১৯ জানুয়ারি রুল জারি করেন হাইকোর্ট। অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা শামীম কামালের করা রিটের প্রাথমিক শুনানিতে এ রুল জারি করা হয়।

আইন সচিব, প্রধান নির্বাচন কমিশনার, স্থানীয় সরকার সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, জনপ্রশাসন সচিব ও লালমনিরহাটের জেলা প্রশাসককে রুলের জবাব দিতে বলা হয়। ওই রিটের রুলসহ আরও পৃথক তিনটি মোট চারটি রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে রায় ঘোষণা করেন হাইকোর্ট।

Advertisement

নির্বাচনে সরকারি চাকরিজীবীদের অযোগ্যতার বিষয়ে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও)-১৯৭২-এর ১২ (১) (চ) ধারা অনুযায়ী, সরকারি কর্মকর্তারা অবসর নেওয়ার তিন বছরের মধ্যে সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন না।

এ বিধান চ্যালেঞ্জ করে শামীম কামাল হাইকোর্টে রিট করেছিলেন। রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এসএম আজিম।

এফএইচ/জেডএইচ/জিকেএস