সামনে ১৪২৩। বাংলা নববর্ষে যে উৎসব ভাতা দেয়া হচ্ছে, সে জন্য আনন্দ আর ধরছে না। বিশেষ করে আমার কাছে একটি মহা-আনন্দের ব্যাপার।নববর্ষ উৎসব ভাতা চালু করার যৌক্তিকতা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে আমি পত্রিকার পাতায় চিঠি দিয়েছিলাম, ছাপাও হয়েছিল তা উল্লেখযোগ্য কয়েকটি পত্রিকায়। এর আগে দাবিটি এত বড় করে আসেনি। নববর্ষ উৎসব ভাতা চালু করায় সরকারি চাকরিজীবীদের পক্ষ থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে আন্তরিক অভিনন্দন ও কৃতজ্ঞতা।এখন মূল বেতনের ২০ শতাংশ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। একদিন না একদিন তা ১০০ ভাগে উন্নীত হবে নিশ্চিত। আমার কথা হলো, ভবিষ্যতে যা হবে তার ক্রেডিট এখনই কেন নেবেন না প্রধানমন্ত্রী? এর প্রভাব পড়বে সমাজজীবনের সর্বস্তরে, পরতে পরতে।সুতরাং এর সূদূরপ্রসারী ব্যাপকতা-বিস্তৃতি উপলব্ধি করে মূল বেতনের ১০০ ভাগ প্রদানের সিদ্ধান্ত নেয়া হোক দ্রুত।পরে নয়, এখনই চাই মূল বেতনের ২০ শতাংশের বদলে ১০০ ভাগ সমপরিমাণ, বাংলা নববর্ষ উৎসব ভাতা প্রদানের যুগান্তকারী ঘোষণা; যা হবে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ায় সংকল্পবদ্ধ, সংস্কৃতিমনস্ক এই সরকারের পক্ষ থেকে সবচেয়ে বড় পুরস্কার ও বড় চমক।লেখক: শিক্ষক, গফরগাঁও সরকারি কলেজ, ময়মনসিংহ।এসইউ/এবিএস
Advertisement