তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, ২০১৩ সালে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে অগ্নিসন্ত্রাস হয়েছিল, আর এখন ২০২৩ সালে করা হচ্ছে তারেক রহমানের নেতৃত্বে।
Advertisement
তিনি বলেন, অগ্নিসন্ত্রাসের মাধ্যমে যারা মানুষ মারছে তারা দেশ ও জাতির শত্রু। আমি প্রতিজ্ঞা করছি- যদি আবারও ক্ষমতায় আসি তাহলে এ অগ্নিসন্ত্রাসের সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনা হবে।
রোববার (৩ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় জীবন্ত মানুষ পোড়ানোর অগ্নিসন্ত্রাসে দগ্ধ ও নিহতদের পরিবারের মানববন্ধন ও দায়ীদের দ্রুত বিচার দাবিতে সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় তথ্যমন্ত্রী বলেন, আজ বিএনপি-জামায়াতের অগ্নিসন্ত্রাসে আহতদের আর্তনাদ সারাদেশে শোনা যাচ্ছে। পৃথিবীর কোথাও রাজনৈতিক কারণে হত্যা, অগ্নিসন্ত্রাসের নজির নেই। আজ এখানে আমরা যখন সমাবেশ করছি তখন অনেক মানুষ বার্ন ইউনিটে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছে। আজও একজন ট্রাকচালকের মৃত্যু হয়েছে।
Advertisement
তিনি বলেন, গত ২৮ অক্টোবর বিএনপি ৩৮ জন সাংবাদিককে আহত করেছে। এমনকি এর মধ্যে ২০ জন তাদেরই বিটের সাংবাদিক ছিল। তারা তাদেরও ছাড় দেয়নি। এ বছরে পাঁচ শতাধিক গাড়িতে আগুন দেওয়া হয়েছে। এ সন্ত্রাসের সঙ্গে জড়িতদের অর্থদাতা, হুকুমদাতা, মদদদাতাদের বিচার না করা হলে এ অগ্নিসন্ত্রাস নির্মূল হবে না।
তিনি আরও বলেন, অন্য একদল লোক চিঠি এবং বিজ্ঞপ্তি দিয়ে বলে তাদের সঙ্গে আলোচনা করতে। আমি বলতে চাই, সন্ত্রাসীদের সঙ্গে কোনো আলোচনা হয় না, হবেও না।
শাহাদাত হোসেন বাবুলের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে-ঢাবির সদ্য সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান, সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য এবং ভুক্তভোগী খুজেদাতুল নাসরিন, আপিল বিভাগের বিচারপতি শামছুদ্দিন চৌধুরী মানিক, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যমল দত্তসহ অনেকে বক্তব্য দেন।
এছাড়া মানববন্ধনে আনোয়ার হোসেন আনুর স্ত্রী পারভীন বেগম, মাশরুহা বেগম, নিহত নাহিদ মোড়লের মা রুনী বেগম, আহত সালাউদ্দিন ভূঁইয়া, আলমগীর হোসেন শিমুলের ছেলে, আহত খোকন মিয়াসহ আহত ও নিহতদের পরিবারের সদস্যরা বক্তব্য দেন।
Advertisement
আল সাদী ভূঁইয়া/এমআইএইচএস/জিকেএস