কিউলেক্স মশা নিধনে একযোগে খাল ও জলাশয় পরিষ্কার শুরু করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)।
Advertisement
শনিবার (২ ডিসেম্বর) দুপুরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান ডিএনসিসির জনসংযোগ কর্মকর্তা মকবুল হোসাইন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শুষ্ক মৌসুমে নালা-নর্দমা, ডোবা, খাল ও জলাশয়ের জলজ আগাছা এবং ময়লা-আবর্জনা মশার উর্বর প্রজননস্থল হিসেবে কাজ করে। তাই কিউলেক্স মশার উপদ্রবের কারণে নগরবাসীর স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় যেন ব্যাঘাত সৃষ্টি না করে সেই লক্ষ্যে একযোগে ডিএনসিসির আওতাধীন এলাকার নালা-নর্দমা, ডোবা, খাল ও জলাশয় পরিষ্কার করে রক্ষণাবেক্ষণের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। গত ২৬ নভেম্বর থেকে ডিএনসিসির দশটি অঞ্চলের মশক ও পরিচ্ছন্নকর্মীরা একযোগে পরিষ্কার কার্যক্রম শুরু করেছেন।
এরই মধ্যে ডিএনসিসি এলাকায় অবস্থিত বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তি মালিকানাধীন নালা, ডোবা, খাল ও জলাশয় পরিষ্কার করা হয়েছে। বড় খাল বিশেষ করে লাউতলা খাল, রূপনগর খাল, সূতিভোলা খালের কচুরিপানা দুটি ফ্লোটিং মেশিন দিয়ে অপসারণ করা হয়েছে। এছাড়া প্রতিটি ওয়ার্ডের ছোট ও মাঝারি আকারের ডোবা ও জলাশয়ে মশক কর্মী ও পরিচ্ছন্ন কর্মীর পরিষ্কার কার্যক্রম করছে। সব জলাশয় পরিষ্কার না হওয়া পর্যন্ত কার্যক্রম চলমান থাকবে।
Advertisement
এ বিষয়ে ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা বলেন, ‘শুষ্ক মৌসুমে কিউলেক্স মশার উৎপাত বেড়ে যায়। মশার যেহেতু নির্দিষ্ট বাউন্ডারি নেই তাই শুধু ডিএনসিসির মালিকানাধীন খাল ও জলাশয় পরিষ্কার করে নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়। তাই নগরবাসীকে স্বস্তি দিতে মেয়রের নির্দেশে খাল, ডোবা ও জলাশয়ের মালিক সরকারি প্রতিষ্ঠান কিংবা ব্যক্তি হলেও আমরা ডিএনসিসি থেকে পরিষ্কারের উদ্যোগ নিয়েছি। তবে সবাইকে নিজেদের খাল, জলাশয় ও ডোবা পরিষ্কার করতে হবে। ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে দায়িত্ব নিতে হবে।
সেলিম রেজা বলেন, ‘শুষ্ক মৌসুম শুরু হলেও এখনো ডেঙ্গুর প্রকোপ রয়েছে। তাই শুধু কিউলেক্স মশা নয়, এডিস মশা নিধনেও সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। বাসাবাড়ি আশপাশে পরিষ্কার রাখাসহ কোথাও যেন পানি জমে না থাকে এ বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে।’
এমএমএ/এমএএইচ/এএসএম
Advertisement