বাংলাদেশে পুরোনো প্রযুক্তির ইকুইপমেন্ট দিয়ে ফাইভ-জি বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয় বরং দুর্নীতির অভিপ্রায় যুক্ত প্রকল্প বাতিলের দাবি জানিয়েছেন বক্তারা।
Advertisement
শনিবার (২ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে বিটিসিএলে পঞ্চম প্রকল্প বাতিলের দাবিতে মানববন্ধনে এসব কথা বলেন তারা।
মানববন্ধনে বাজার বিশ্লেষক ও ভোক্তা প্রতিনিধি কাজী আব্দুল হান্নান বলেন, যেই সি ব্যান্ড ইকুইপমেন্ট দিয়ে ডিডাব্লিউডিএম কিনতে যাচ্ছে বিটিসিএল সেটা ক্রয় করা হয়েছে ২০১৬ সালে। আর তখন বিবেচনায় ছিল থ্রি-জি। বর্তমানে -জি বিবেচনায় নিয়ে কোনোভাবেই সংস্থাটি সি ব্যান্ড কিনতে পারে না। সি ব্যান্ড এর ডিডাব্লিউডিএম নেটওয়ার্ক বর্তমানে বিটিসিএলে থাকতে আরেকটা সেইম টেরনোলজির ডিডাব্লিউডিএম কেনা শুধুই সরকারের আর্থিক অপচয়।
সভাপতির বক্তব্যে মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, চতর্থি শিল্প বিপ্লব মোকাবিলার জন্য চাই দ্রুতগতির ৫-জি। যেই প্রকল্প জনগণের অর্থে করা হচ্ছে সেই প্রকল্প দিয়ে যদি ৫-জি না চলে তাহলে চতুর্থ শিল্প বিপ্লব মোকাবিলা করা সম্ভব নয়। ২০১৬ সালে জনগণের পকেট থেকে যে ইকুইপমেন্ট কেনা হয়েছে সেই ইকুইপমেন্ট ব্যবহারের জন্য আবার জনগণের পকেট থেকে অর্থ নিয়ে কেউ লুটপাট করবে তা আমরা কোনোভাবেই হতে দিতে পারি না।
Advertisement
প্রকল্পের সার্বিক ত্রুটির দিক তুলে তিনি আরো বলেন, বিটিসিএল জানুয়ারি ২০২২ হতে ডিসেম্বর ২০২৪ মেয়াদে সমগ্র দেশে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করার কথা থাকলেও এখনও ভেন্ডর নিয়োগ দিতে পারেনি প্রকল্প কর্তৃপক্ষ। অথচ প্রকল্পের শুরুতেই ইকুইপমেন্ট ক্রয়ে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। যা দেশের শীর্ষ স্থানীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। প্রকল্প সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা নিজেরা লাভবানের উদ্দেশ্যে কমদামি ইকুইপমেন্ট ক্রয়সহ কারিগরী নির্দেশ সঠিকভাবে প্রস্তুত না করায় এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য ব্যাহত হতে যাচ্ছে এবং বরাদ্দকৃত টাকা লুটপাট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
মানববন্ধনে অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট ফোরামের সভাপতি কবীর চৌধুরী তন্ময়, জাতীয় তরুণ সংঘের সভাপতি ফজলুল হক, গ্রীণ পার্টির সভাপতি রাজু আহমেদ খান, সংগঠনের কেন্দ্রীয় সদস্য এড. শাহেদা বেগম, ডা. আমিনুল ইসলামসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
এনএস/এসএনআর/এমএস
Advertisement