দেশজুড়ে

‘পুরো ভবন কেঁপে ওঠে, এমন ভূমিকম্প আর দেখা যায়নি’

সারাদেশে মাঝারি ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৬। এর উৎপত্তিস্থল লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার ভাদুর ইউনিয়নের হানুবাইশ গ্রাম বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

Advertisement

শনিবার (২ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আবহাওয়া অধিদপ্তরের সহকারী আবহাওয়াবিদ ফারজানা সুলতানা এক চিঠিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, সকাল ৯ টা ৩৫ মিনিট ৩৩ সেকেন্ডে ৫.৬ রিখটার স্কেলের মাঝারি আকারের ভূমিকম্প হয়েছে। তবে কোনো ক্ষয়ক্ষতি খবর এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।

ভাদুর ইউনিয়নের সমেষপুর গ্রামের বাসিন্দা শেখ ফরিদ বলেন, ভূমিকম্পের সময় আমি রামগঞ্জ উপজেলা শহরে ছিলাম। এজন্য কম্পনের বিষয়টি বেশি বুঝতে পারিনি। বাড়িতে এসে শুনেছি। আমাদের পুরো ভবন কেঁপে ওঠে। এমন ভূমিকম্প আমাদের এলাকায় আর দেখা যায়নি।

Advertisement

উপজেলার লামচর ইউনিয়নের পানপাড়া এলাকার বাসিন্দা আবুল কাশেম বলেন, আমি বাঁশ ঝাড়ের নিচে ছিলাম। হঠাৎ পুরো এলাকা কেঁপে ওঠে। এমন অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে, যেন বাঁশগুলো আমার ওপর ভেঙে পড়ছে। এ ধরনের ভূমিকম্প আর দেখিনি।

রামগঞ্জের ভাদুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাবেদ হোসেন বলেন, আমি শুয়ে ছিলাম। হঠাৎ করে খাট নড়ে উঠছিল। পুরো ভবনটাই নড়ছিল। এমন কম্পন গত কয়েকবছরে দেখিনি। গণমাধ্যম সূত্রে জানতে পেরেছি আমাদের হানুবাইশ গ্রামে ভূকম্পনের উৎপত্তিস্থল। তাৎক্ষণিক স্থানীয় ইউপি সদস্য মামুন হোসেনের সঙ্গে কথা বলেছি। কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। তবুও খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।

রামগতি প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যেবক্ষণাগারের পর্যবেক্ষক সোহরাব হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, রামগঞ্জে ভূকম্পনের উৎপত্তি হয়েছে বলে আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে আমাদের চিঠি দিয়ে জানিয়েছে। রামগতিতেও ভূকম্পন অনুভূত হয়েছে।

লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক (ডিসি) সুরাইয়া জাহান জাগো নিউজকে বলেন, ভূমিকম্পটি রামগঞ্জ থেকে উৎপত্তি হয়েছে বলে আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে জানানো হয়েছে। কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। তবুও রামগঞ্জ ইউএনওসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের খোঁজ নিতে বলা হয়েছে।

Advertisement

কাজল কায়েস/এসজে/জেআইএম