দেশজুড়ে

‘হাফিজুর বিয়ে না করলে মরা ছাড়া গতি নেই’ বললেন দুই সন্তানের জননী

ফরিদপুরের সালথায় বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে অবস্থান নেওয়ায় এক নারীকে (৩০) মারধরের ঘটনা ঘটেছে। উপজেলার মাঝারদিয়া ইউনিয়নের কাগদি-স্বজ্জনকান্দা এলাকায় শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) সকালে এ ঘটনা ঘটে।

Advertisement

অভিযুক্ত প্রেমিকের নাম হাফিজুর মোল্লার (৪৫)। তিনি স্থানীয় চানমিয়া মোল্যার ছেলে এবং দুই পুত্র সন্তানের জনক। সকাল ৭টা থেকে ওই নারী হাফিজুরের বাড়িতে তার ঘরে অবস্থান করছেন।

স্থানীয় ও ভুক্তভোগী সূত্রে জানা গেছে, প্রায় তিন বছর ধরে হাফিজুরের সঙ্গে দুই সন্তানের জননী ওই নারীর পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে ওঠে। হাফিজুর বিভিন্ন সময় তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করেন। বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) রাতে হাফিজুর ওই নারীর সঙ্গে দেখা করে বাড়িতে যেতে বলেন। বাড়িতে গেলে বিয়ে করবেন বলে আশ্বাস দেন। শুক্রবার সকালে ওই নারী হাফিজুরের বাড়িতে গেলে হাফিজুর, তার চাচা ছিরু মোল্যা ও পরিবারের সদস্যরা তাকে মারধর করেন।

স্থানীয়রা জানান, এ সম্পর্কের কারণে হাফিজুরের স্ত্রী প্রায় ছয় মাস ধরে তার বাবার বাড়িতে থাকেন। বুধবার (২৯ নভেম্বর) তিনি স্বামীর বাড়িতে আসেন।

Advertisement

ভুক্তভোগী নারী জাগো নিউজকে বলেন, ‘প্রায় তিন বছর হাফিজুরের সঙ্গে আমার প্রেমের সম্পর্ক। বিয়ের প্রতিশ্রুতিতে আমার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করেছে। ওর জন্য আমার ঘর-সংসার, জীবন-যৌবন সব শেষ। ও আমাকে বিয়ে না করলে আমার মরা ছাড়া গতি নেই। আমাকে বিয়ে না করলে আমি আত্মহত্যা করবো।’

অভিযোগের বিষয়ে জানতে হাফিজুর মোল্লার মোবাইল নম্বরে একাধিকবার কল করলে তা বন্ধ পাওয়া যায়। পরে বাড়িতে গিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে মাঝারদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আফছার উদ্দিন মাতুব্বর বলেন, ‘বিষয়টি বিকেলে জানতে পেরেছি। দেখি কী করা যায়।’

সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ সাদিক বলেন, এ বিষয়ে থানায় কোনো অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Advertisement

এন কে বি নয়ন/এসআর/এএসএম