সুযোগ পেয়েও বিশ্বর উদীয়মান অর্থনীতির দেশগুলোর জোট ব্রিকসে যোগ দিচ্ছে না লাতিন আমেরিকার দেশ আর্জেন্টিনা। দেশটির সদ্য নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট হ্যাভিয়ার মিলেইয়ের দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য দায়ানা মোন্দিনো বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। মিলেই সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পেতে পারেন দায়ানা।
Advertisement
বার্তা সংস্থা এপি বলছে, ডানপন্থীদের উত্থানে আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্রনীতিতে যে বড় ধরনের পরিবর্তন আসবে, তা আগে থেকেই বোঝা গিয়েছিল। কারণ মিলেই তার নির্বাচনী প্রচারণার শুরু থেকে চীনের ঘোর বিরোধিতা করেছিলেন। আবার ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুলারও একজন বড় সমালোচক মিলেই।
ওই সময় এক সাক্ষাৎকারে মিলেই বলেছিলেন, তার সরকার কখনোই কমিউনিস্টদের সঙ্গে ব্যবসা করবে না। তবে তিনি সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের একজন বড় সমর্থক। নির্বাচনী প্রচারণায় তিনি বলেছিলেন, জয় পেলে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক বাড়াবেন।
তিনি নির্বাচিত হওয়ার পরপরই দায়ানা মোন্দিনো ব্রিকসে যোগদানের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করার কথা জানিয়েছিলেন। দুই সপ্তাহ আগে এক সাক্ষাৎকারে মোন্দিনো বলেছিলেন, ব্রিকসে বাণিজ্যিক স্বার্থের চেয়ে রাজনৈতিক স্বার্থই বেশি। তাছাড়া এর সদস্য দেশগুলোর সঙ্গে এমনিতেই আর্জেন্টিনার বাণিজ্য সম্পর্ক রয়েছে।
Advertisement
চলতি মাসের আগস্টে হওয়া ব্রিকস সম্মেলনে ছয়টি দেশকে এই জোটে যুক্ত হওয়ার আমন্ত্রণ জানানো হয়। আমন্ত্রণ পাওয়া এসব দেশ হচ্ছে- সৌদি আরব, ইরান, সংযুক্ত আরব আমিরাত, আর্জেন্টিনা, মিশর ও ইথিওপিয়া। সে সময় বেশ কিছু আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে বলা হয়েছিল, আর্জেন্টিনার বর্তমান প্রশাসন ব্রিকসে যোগ দেওয়ার জন্য লবিং করেছিল।
সূত্র: রয়টার্স, এপি
এসএএইচ
Advertisement