আতিক মেসবাহ্ লগ্ন সবার কাছে পরিচিত আরজে লগ্ন হিসেবে। কাজ করছেন জনপ্রিয় রেডিও স্টেশন রেডিও ধ্বনি ৯১.২ এফএমে। পড়ছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে। তার জন্ম কুড়িগ্রামের উলিপুরে। ছেলেবেলা থেকেই শব্দের সঙ্গে সখ্য তার। শব্দ ও শব্দের সম্মিলিত সৃষ্টি গল্প নিয়েই লগ্নর পথচলা। গল্প বলতে ভালোবাসেন, চারপাশ থেকেই সংগ্রহ করেন গল্পের উপাদান। ষোলোআনা পাঠক থেকে বনে যান দু-চার আনা গল্পের কথকে। মুগ্ধ করেন চারপাশকে।
Advertisement
সম্প্রতি বইমেলা ও বই প্রকাশ সম্পর্কে কথা বলেছেন জাগো নিউজের সঙ্গে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন কবি ও কথাশিল্পী সালাহ উদ্দিন মাহমুদ—
জাগো নিউজ: আগামী বইমেলায় আপনার কয়টি বই প্রকাশিত হচ্ছে?আতিক মেসবাহ্ লগ্ন: দুটো বই নিয়ে কাজ করছি। একটি গল্প, আরেকটি কবিতার। গল্পগুলো সমকালীন ও প্রাসঙ্গিক। আপাতত এটি নিয়েই মুখিয়ে আছি।
জাগো নিউজ: বাংলা একাডেমি আয়োজিত আগামী বইমেলা কেমন দেখতে চান?আতিক মেসবাহ্ লগ্ন: বইমেলা লেখক, পাঠক ও প্রকাশকদের ত্রিমুখী মিলনবিন্দু। বিগত কয়েক বছরে বই ক্রেতাদের চেয়ে দর্শনার্থীর সংখ্যা বেশি ছিল। তরুণ হিসেবে চাই ক্রেতারা বই কিনুক, পাণ্ডুলিপিতে আকৃষ্ট হোক।
Advertisement
আরও পড়ুন: পণ্যসংস্কৃতির প্রচারণায় মানুষ সুখ খুঁজছে: আমিনুল ইসলাম
জাগো নিউজ: আপনার দেখা বিগত বইমেলায় কোনো অসঙ্গতি চোখে পড়েছে?আতিক মেসবাহ্ লগ্ন: তেমন কিছু চোখে পড়েনি। সব সুন্দরই ছিল। বইপ্রেমীদের কাজে ভুলগুলো শৈল্পিক হয়। তবে কাগজের দাম বেড়ে যাওয়ায় নতুনদের বেশ বেগ পোহাতে হয়; এটি ঠিক অসঙ্গতি নয়, প্রতিবন্ধকতা।
জাগো নিউজ: বইমেলায় বইয়ের বিক্রি বাড়ছে নাকি কমছে?আতিক মেসবাহ্ লগ্ন: বইয়ের বিক্রি কিছুটা কমেছে বলেই মনে হয়। দর্শনার্থীরা ঘোরাফেরা করার জন্যই মেলায় এসেছেন। পূর্ব নির্ধারিত বই ছাড়া লিটল ম্যাগাজিন বা অপরিচিত প্রকাশনীগুলোতে আগ্রহ দেখা যায়নি। এতে অনেক সুন্দর লেখাও পাঠবঞ্চিত থেকেছে, বইয়ের বিক্রি নির্দিষ্ট দিক ধরে চলেছে।
জাগো নিউজ: বইয়ের প্রচারণাকে কোন দৃষ্টিতে দেখেন?আতিক মেসবাহ্ লগ্ন: সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের কন্টেন্টের যুগে প্রচারণা ছাড়া পাঠকদের বইমুখী করা কষ্টকর। প্রচারণার প্রয়োজন আছে। এতে লেখকের জনপ্রিয়তাই বেড়ে যায় না, পাঠকরাও বইয়ের প্রতি আকৃষ্ট হন।
Advertisement
আরও পড়ুন: বইয়ের বিক্রি নির্ভর করে প্রচারণার ওপর: মাসুম আওয়াল
জাগো নিউজ: বইমেলার পাঠকের জন্য কী পরামর্শ দেবেন? আতিক মেসবাহ্ লগ্ন: পাঠকদের পড়তে বলবো। দ্বিধা উবে দিয়ে সব লেখকের বই পড়তে বলবো। পছন্দের ধাঁচের বাইরেও অখ্যাত লেখকদের দু-চার পৃষ্ঠা পড়তে বলবো। দুঃসময়ে শব্দরাই ভালো সঙ্গী, সেরা বন্ধু। বই ও শব্দের সাথে সুসম্পর্ক সময় ও জীবনকে সুন্দর করবে।
এসইউ/এমএম