আন্তর্জাতিক

যুদ্ধবিরতি শেষ হতে না হতেই ইসরায়েল-হামাসের লড়াই শুরু

গাজা উপত্যকায় হামাসের সঙ্গে পুণরায় লড়াই শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েল। সেখানে যুদ্ধবিরতি শেষ হতে না হতেই দুপক্ষের মধ্যে আবারও লড়াই শুরু হয়েছে বলে বিবিসির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।

Advertisement

সামাজিক মাধ্যমে এক পোস্টে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী দাবি করেছে, হামাস ইসরায়েলে হামলা চালিয়েছে। ইসরায়েলের পক্ষ থেকে হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরতির শর্ত লঙ্ঘনের অভিযোগ আনা হয়েছে।

আরও পড়ুন: স্পেনের রাষ্ট্রদূতকে তলব করেছে ইসরায়েল

গত ২৪ নভেম্বর দুপক্ষের মধ্যে যুদ্ধবিরতি শুরু হয়। যুদ্ধবিরতি চলাকালীন গাজায় জিম্মি হিসেবে আটকে রাখা ১১০ জনকে মুক্তি দিয়েছে স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। অপরদিকে কারাগার থেকে ২৪০ জন ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দিয়েছে ইসরায়েল।

Advertisement

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে আকস্মিক হামলা চালায় হামাস। সে সময় ১২০০ জন নিহত হয়। এরপরেই গাজা উপত্যকায় হামলা শুরু করে ইসরায়েল। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় প্রায় ১৫ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে যাদের প্রায় ৬ হাজারই শিশু।

এদিকে যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়ানোর সময়ও শেষ হয়ে গেছে। কিন্তু হামাস বা ইসরায়েলের পক্ষ থেকে যুদ্ধবিরতি বাড়ানোর বিষয়ে কোনো খবর পাওয়া যায়নি। এর আগে যুক্তরাষ্ট্র, কাতার এবং মিশরের মধ্যস্থতায় দুপক্ষ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছিল।

এর আগে ইসরায়েল জানিয়েছে, তারা আরও ৩০ ফিলিস্তিনি নাগরিককে মুক্তি দিয়েছে। হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি বাড়ার পর এসব ফিলিস্তিনি নাগরিককে মুক্তি দেওয়া হয়। ইসরায়েলের কারা-কর্তৃপক্ষ ৩০ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

আরও পড়ুন: আরও ৩০ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দিয়েছে ইসরায়েল

Advertisement

এদিকে বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) যুদ্ধবিরতির ৭ম দিনে আরও বেশ কয়েকজন ইসরায়েলি বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। অপরদিকে যেসব ফিলিস্তিনি মুক্তি পেয়েছেন তাদের নাম এখনও প্রকাশ করা হয়নি। এছাড়া হামাস-সংশ্লিষ্ট সংবাদমাধ্যম থেকেও বন্দিদের মুক্তির বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো তথ্য নিশ্চিত করা হয়নি।

টিটিএন