ফের ইসরায়েলে পা রেখেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। ইসরায়েল এবং ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের মধ্যকার সংঘাত শুরুর পর থেকে এ নিয়ে তৃতীয় বারের মতো ইসরায়েলে সফর করলেন এই শীর্ষ মার্কিন কূটনীতিক। বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
Advertisement
আরও পড়ুন: আরও ১২ জিম্মি-৩০ ফিলিস্তিনি বন্দির মুক্তি
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে আকস্মিক হামলা চালায় হামাস। সে সময় ১২০০ জন নিহত হয় এবং আরও দুই শতাধিক লোকজনকে জিম্মি হিসেবে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়া হয়। এই ঘটনার পর ইসরায়েলি বাহিনী গাজায় পাল্টা আক্রমণ চালায়। ইসরায়েলের অব্যাহত হামলায় প্রায় ১৫ হাজার ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন যাদের মধ্যে নারী এবং শিশুও রয়েছে।
অস্থায়ী যুদ্ধবিরতির সময় বাড়ানো এবং গাজা উপত্যকায় মানবিক সহায়তা বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনা করতেই তেল আবিবে সফর করছেন অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন।
Advertisement
ইসরায়েল থেকে অপহরণ করা জিম্মি এবং ইসরায়েলের কারাগারে আটক থাকা বন্দি ফিলিস্তিনিদের মুক্তির বিনিময়ে বর্তমানে গাজায় যুদ্ধবিরতি চলছে। প্রথমে যুদ্ধবিরতির মেয়াদ চারদিন থাকলেও পরে আরও দুদিন বাড়ানো হয়েছে।
এদিকে চুক্তির আওতায় যেসব ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দিয়েছে ইসরায়েল তাদের বিরুদ্ধে আগে পাথর ছোঁড়া থেকে শুরু করে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ পর্যন্ত আনা হয়েছিল।
গত কয়েকদিন ধরেই পরস্পরের মধ্যে জিম্মি ও বন্দি বিনিময় করছে ইসরায়েল ও হামাস। ইসরায়েলি সরকারের এক মুখপাত্র ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, চলমান জিম্মি ও বন্দি বিনিময় চুক্তির আওতায় যুদ্ধবিরতি আরও পাঁচদিন বাড়ানোর সম্ভাবনা রয়েছে।
আরও পড়ুন: যুদ্ধবিরতির মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্র-ইসরায়েলকে কঠোর হুঁশিয়ারি ইরানের
Advertisement
গাজার অনেক মানুষ তাদের প্রিয়জনের সন্ধানের জন্য যুদ্ধবিরতির সুযোগকে কাজে লাগানোর চেষ্টা করছে। হামাস কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, প্রায় দেড় হাজার মানুষ গাজায় এখনো নিখোঁজ আছে এবং ইসরায়েলের সামরিক অভিযানে মারা গেছেন প্রায় ১৫ হাজার ফিলিস্তিনি।
টিটিএন