দেশজুড়ে

যশোরে ৮ সেতুর নির্মাণ স্থগিত

যশোরের পাঁচ নদীতে নির্মাণাধীন আট সেতুর কাজ তিন মাসের জন্য স্থগিত করেছেন উচ্চ আদালত। সোমবার (২৮ নভেম্বর) নদ সংস্কার আন্দোলনকারীদের রিটের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি কে এস শামরুল কাদের এবং বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে হাইকোর্ট বিভাগের একটি দ্বৈত বেঞ্চ স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের প্রকৌশল বিভাগ (এলজিইডি) ও অন্যান্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরের বিরুদ্ধে এই রুল জারি করেন।

Advertisement

সম্প্রতি বিভিন্ন গণমাধ্যমে নিয়ম লঙ্ঘন করে পাঁচ নদীতে আট সেতু নির্মাণের বিষয়টি নিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এরপরই পাঁচ দপ্তরকে আইনি নোটিশ পাঠান ভৈরব নদ সংস্কার আন্দোলন কমিটি। চলতি বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর কমিটির উপদেষ্টা ইকবাল কবির জাহিদের পক্ষে এ নোটিশ পাঠান সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সামছুল হক।

আরও পড়ুন: ধসে যাওয়া সেতু সংস্কার হয়নি পাঁচ বছরেও

সেতুগুলো হলো- ভৈরব নদের ওপর ছাতিয়ানতলা, দাইতলা ও রাজারহাট সেতু, মণিরামপুরে মুক্তেশ্বরী ও শ্রী নদীতে দুটি, অভয়নগরের টেকা নদীতে একটি এবং শার্শার বেতনা নদীতে দুটি সেতু।

Advertisement

নোটিশে বলা হয়েছে, ‘বিআইডব্লিউটিএ’র ছাড়পত্র না নিয়ে এবং নিয়ম লঙ্ঘন করে যশোরের ভৈরব নদসহ পাঁচটি নদ নদীতে অপরিকল্পিতভাবে নির্মাণ করা হচ্ছে আট সেতু। কম উচ্চতায় এসব সেতু নির্মাণ করায় চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারি ও ৫ এপ্রিল বিআইডব্লিউটিএ প্রকল্প বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে চিঠি দিয়েছিল। এরপরও তা আমলে নেয়নি সরকারের এ প্রতিষ্ঠানগুলো।

এসব সেতু বন্ধ করার জন্য ভৈরব নদ সংস্কার আন্দোলনের উপদেষ্টা প্রধানমন্ত্রী ও জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনেও স্মারকলিপি দিয়েছিল। কিন্তু সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোও পাত্তা দেয়নি। জারি করা রুলে আগামী তিন মাসের জন্য সেতুসমূহের নির্মাণ কাজ স্থগিত রাখার আদেশ দেওয়া হলো। সরকারপক্ষের মামলা পরিচালনা করছেন অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ সাইফুজ্জামান।

আরও পড়ুন: দেবে গেছে কালভার্ট, ঝুঁকি নিয়ে চলাচল

ভৈরব নদ সংস্কার আন্দোলনের উপদেষ্টা ইকবাল কবির জাহিদ বলেন, নদী প্রবহমান করতে সংস্কার করা হচ্ছে। কিন্তু অপরিকল্পিত এসব সেতু নদী প্রবহমান করার ক্ষেত্রে অন্যতম বাধা। আমরা বিভিন্ন সময় সংশ্লিষ্ট দপ্তরে অভিযোগ জানালেও তারা কর্ণপাত করেনি। ফলে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়। এখন উচ্চ আদালতের বিচারক সেতুগুলোর নির্মাণ কাজ স্থগিত করেছে।

Advertisement

মিলন রহমান/জেএস/জেআইএম