খেলাধুলা

ক্ষতিপূরণ চায় পিসিবি, দিতে নারাজ এসিসি

শ্রীলঙ্কার সঙ্গে যৌথভাবে চলতি বছরের এশিয়া কাপের আয়োজন করেছিল পাকিস্তান। আগস্ট-সেপ্টেম্বর মাসের ওই টুর্নামেন্টের আয়োজক পাকিস্তান হলেও সেখানে ম্যাচ হয়েছে মাত্র ৪টি। বাকি ম্যাচগুলো হয়েছে শ্রীলঙ্কায়।

Advertisement

যে কারণে অংশগ্রহণকারী দেশগুলোকে বারবার দুই আয়োজন দেশের মধ্যে সফর করতে হয়েছে। আর এসব সফর চাটার্ড ফ্লাইটে করেছিল ক্রিকেটাররা। ফলে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডকে (পিসিবি) গুনতে হয়েছে অতিরিক্ত খরচ।

বাড়তি খরচের জন্য কোনো বাজেট দেয়নি এশিয়া ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি)। ফলে ক্রিকেটাররা যে ফ্লাইটে করে ভেন্যু পরিবর্তন করেছিল, তাতে বড় অংকের অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় করতে হয়েছে পাকিস্তানকে। সেই আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ে এসিসির কাছে অর্থ দাবি করেছে পিসিবি।

পিসিবির একটি নির্ভরযোগ্য সূত্রে প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়া (পিটিআই) জানিয়েছে, প্রায় ২ লাখ ৫০ হাজার ডলার টুর্নামেন্ট আয়োজন ফির সঙ্গে টিকিট এবং স্পনসরশিপ ফি থেকে শেয়ার চাওয়ার পাশাপাশি অতিরিক্ত ক্ষতিপূরণও দাবি করেছে পিসিবি।

Advertisement

সূত্র বলেছে, অতিরিক্ত অর্থ পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কার সফরে চার্টার্ড ফ্লাইট ভাড়া এবং অন্যান্য অতিরিক্ত খরচ, যেমন- হোটেল এবং পরিবহন ফি, যা এশিয়া কাপের প্রাথমিক বাজেটে অন্তর্ভুক্ত ছিল না।

তবে পিসিবি ক্ষতিপূরণ দাবি করলেও তা দিতে নারাজ এসিসি। সংস্থাটির দাবি, পাকিস্তান নিজেরাই শ্রীলঙ্কার সঙ্গে যৌথভাবে ম্যাচ আয়োজনের বিষয়টি মেনে নিয়েছে। সে অনুযায়ী পিসিবি ৪ ম্যাচের আয়োজক ছিল। এতে এসিসির কিছুই বলার নেই।

সূত্রটি আর বলেছে, যেহেতু এসিসি শ্রীলঙ্কায় ম্যাচ আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তাই পিসিবি কর্তৃক চার্টার্ড ফ্লাইট এবং অন্যান্য অতিরিক্ত ব্যয় বহন করা তাদের দায়িত্ব ছিল। এসিসির বৈঠকেই ব্যয় অনুমোদন করার দরকার ছিল।

ঝামেলাটা এতদিন গড়াতো না, যদি ভারতীয় দল পাকিস্তানে ক্রিকেট খেলতে যেতো। পাকিস্তান সফরে নিষেধাজ্ঞা থাকার কারণে রোহিত শর্মারা নিজেদের ম্যাচগুলো শ্রীলঙ্কায় খেলতে রাজি হয়। ফলে বাড়তি ঝামেলায় পড়তে হয়েছিল আয়োজকদের।

Advertisement

ফ্লাইট কোম্পানি ৪টি চারটি চার্টার্ড ফ্লাইটের জন্য ২ লাখ ৮১ হাজার ৭শ ডলার খরচ করেছিল। যার পুরোটাই অগ্রিম নিয়েছিল তারা। যদিও ওইসব ফ্লাইটে ক্রিকেটারদের সঙ্গে সাধারণ যাত্রীদের সফরের সুযোগ ছিল, কিন্তু পিসিবি নিরাপত্তা শঙ্কায় সেটি করেনি। যদি ফ্লাইট শেয়ার করতো, তাহলে খরচ অনেকটাই কমে যেতো।

এমএমআর/জেআইএম