আন্তর্জাতিক

ভূমধ্যসাগরে দিনে গড়ে ৮ অভিবাসনপ্রত্যাশীর মৃত্যু হচ্ছে: এমএসএফ

চলতি বছর ভূমধ্যসাগর পেরিয়ে ইউরোপমুখী যাত্রায় প্রতিদিন গড়ে মারা যাচ্ছেন বা নিখোঁজ হচ্ছেন আটজন অভিবাসনপ্রত্যাশী। সম্প্রতি ‘নো ওয়ান কেইম টু আওয়ার রেসকিউ’ (আমাদের উদ্ধারে কেউ আসেনি) শীর্ষক এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বেসরকারি সংস্থা ডক্টরস উইদাউট বর্ডারস (এমএসএফ)।

Advertisement

সংস্থাটি জানিয়েছে, চলতি বছর কেন্দ্রীয় ভূমধ্যসাগরে এ পর্যন্ত শিশু, নারী ও পুরুষ মিলিয়ে অন্তত ২ হাজার ২০০ জন প্রাণ হরিয়েছেন কিংবা নিখোঁজ হয়েছেন।

আরও পড়ুন>> ঝুঁকি নিয়ে সাগরপথে ইউরোপ যাওয়ায় শীর্ষে বাংলাদেশিরা

প্রতিবেদনে সমুদ্রে মৃত্যুর জন্য ‘সীমান্তে কঠোরতা এবং ইউরোপীয় রাষ্ট্রগুলো মৌনতার’ নিন্দা জানিয়েছে এমএসএফ।

Advertisement

‘জেনেশুনে ঝুঁকিতে ফেলা হচ্ছে’এমএসএফ পরিচালিত উদ্ধারকারী জাহাজ জিও ব্যারেন্টসের সংগ্রহ করা তথ্য উপাত্তের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ইউরোপের উপকূলীয় দেশগুলো জেনেশুনে উদ্ধার অভিযানে দেরি করে এবং নিজেদের মধ্যে সমন্বয়ের অভাব দেখায়। এছাড়া, অনিরাপদ স্থানে পুনঃস্থাপনের সুবিধা দিয়ে জীবনকে বিপন্ন করে।

আরও পড়ুন>> ভূমধ্যসাগর থেকে ৩০ বাংলাদেশি উদ্ধার

২০২৩ সালে কেন্দ্রীয় ভূমধ্যসাগর হয়ে ইতালি যাওয়া অভিবাসীর সংখ্যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি বেড়েছে। অভিবাসনপ্রত্যাশীদের নৌকাগুলো ছেড়ে আসার ক্ষেত্রে তিউনিশিয়া এখন প্রধান স্থানে রূপ নিয়েছে, ছাড়িয়ে গেছে লিবিয়াকে৷

স্বাস্থ্য পরীক্ষায় নির্যাতনের প্রমাণগত ২২ নভেম্বর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এমএসএফ বলেছে, অভিবাসনপ্রত্যাশীদের উদ্ধারের পর মেডিকেল পরীক্ষায় তাদের শরীরের নির্যাতনের প্রমাণ পাওয়া গেছে।

Advertisement

আরও পড়ুন>> ভূমধ্যসাগরে ভাসছে ৪০০ অভিবাসনপ্রত্যাশী, সাহায্যে এগোচ্ছে না কেউ

এতে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এমএসএফের মেডিকেল টিম জিও ব্যারেন্টসের মাধ্যমে উদ্ধার হওয়ার ৩ হাজার ৬৬০ জন অভিবাসীর সঙ্গে কথা বলেছে। এসব মানুষ বিপজ্জনকভাবে সমুদ্র পাড়ি দেওয়ার ফলে সৃষ্ট শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন। এগুলোর মধ্যে রয়েছে শরীর পুড়ে যাওয়া, জ্বালানির বিষক্রিয়া, হাইপোথার্মিয়া এবং ডিহাইড্রেশন।

এ পর্যন্ত উদ্ধার হওয়া অভিবাসনপ্রত্যাশীদের মধ্যে ২৭৩ জনের সন্ধান পেয়েছে এমএসএফ, যারা সহিংসতার শিকার হওয়ায় ট্রমায় ভুগছিলেন। তাদের শরীরে গুলির ক্ষত বা মারধরের দাগ রয়েছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।

সূত্র: ইনফো মাইগ্রেন্টসকেএএ/