বছরের পর বছর ধরে লোকসানে থাকা ইমাম বাটনের শেয়ারের দাম দেড় মাসের ব্যবধানে বেড়ে প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। এ অস্বাভাবিক দাম বাড়ার বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখার উদ্যোগ নিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
Advertisement
এজন্য কোম্পানির সাম্প্রতিক সময়ের লেনদেন তদন্ত করতে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)-কে নির্দেশ দিয়েছে বিএসইসি। মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) বিএসইসি থেকে চিঠি দিয়ে ডিএসইকে এ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বিএসইসির এ সংক্রান্ত চিঠিতে বলা হয়েছে, কোম্পানিটির শেয়ার দাম চলতি বছরের ৭ সেপ্টেম্বর ছিল ১০৪ টাকা ৪০ পয়সা। সেখান থেকে দাম বেড়ে ২৬ অক্টোবর ১৯৪ টাকা ১০ পয়সা হয়।
শেয়ার মূল্যের এ অস্বাভাবিক গতিবিধির জন্য বিএসইসির সার্ভিলেন্স বিভাগ থেকে ডিএসইকে কোম্পানিটির সাম্প্রতিক সময়ের লেনদেনের ওপর তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে বিএসইসিতে পাঠাতে হবে তদন্ত প্রতিবেদন।
Advertisement
১৯৯৬ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া কোম্পানিটি বছরের পর বছর ধরে লোকসানে নিমজ্জিত। যে কারণে ২০১০ সালের পর বিনিয়োগকারীদের কোম্পানিটি কোনো লভ্যাংশ দিতে পারেনি। ফলে শেয়ারবাজারে পচা বা ‘জেড’ গ্রুপে স্থান হয়েছে কোম্পানিটির।
তবে সর্বশেষ প্রকাশিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি বছরের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তিন মাসের ব্যবসায় কোম্পানিটি শেয়ারপ্রতি ৯ পয়সা মুনাফা করেছে। অবশ্য এর আগে ২০১৮ সালে শেয়ারপ্রতি ৪ পয়সা, ২০১৭ সালে শেয়ারপ্রতি ৩৮ পয়সা, ২০১৬ সালে শেয়ারপ্রতি ১ টাকা, ২০১৫ সালে শেয়ারপ্রতি ১ টাকা ৬৪ পয়সা এবং ২০১৪ সালে শেয়ারপ্রতি ১ টাকা ৮১ পয়সা লোকসান করে কোম্পানিটি।
মাত্র ৭ কোটি ৭০ লাখ টাকা পরিশোধিত মূলধনের এ কোম্পানিটির শেয়ার সংখ্যা ৭৭ লাখ। এরমধ্যে ৩৪ দশমিক ১২ শতাংশ শেয়ার আছে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের হাতে। বাকি শেয়ারের মধ্যে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে আছে ৫৪ দশমিক ৭৯ শতাংশ। আর প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে আছে ১১ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ শেয়ার।
এমএএস/এমএইচআর/এমএস
Advertisement