তালাককে হাদিসে সবচেয়ে নিকৃষ্ট বৈধ কাজ বলা হয়েছে। আল্লাহ তালাক অপছন্দ করেন। এরপরও যদি স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কোনোভাবেই বনিবনা না হয়, তাহলে অনেক সময় বিয়ে বিচ্ছেদ অপরিহার্য হয়ে পড়ে। এ অবস্থায় তালাক দেওয়ার আদর্শ পদ্ধতি হলো, স্ত্রী যখন হায়েজ অর্থাৎ মাসিক থেকে পবিত্র হয়, তখন নতুন করে যৌনমিলন হওয়ার আগেই স্পষ্ট শব্দে শুধু এক তালাক দেওয়া। দ্বিতীয় বা তৃতীয় তালাক না দেওয়া। তাহলে স্ত্রীর ইদ্দত অর্থাৎ তিনবার মাসিক শেষ হওয়া পর্যন্ত সময়ে যদি তালাকের সিদ্ধান্ত ভুল মনে হয়, তাহলে নতুন বিয়ে ছাড়াই স্বামী স্ত্রীকে ফিরিয়ে নিতে পারবে।
Advertisement
মাসিক অবস্থায় তালাক দেওয়া নিন্দনীয় কাজ। কিন্তু মাসিক অবস্থায় তালাক দিলে তালাক হয়ে যাবে। আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত রয়েছে, তিনি তার স্ত্রীকে হায়েজ অবস্থায় তালাক দিয়েছিলেন। ওমর (রা.) বিষয়টি রাসুলকে (সা.) জানালে তিনি বললেন, সে যেন তাকে ফিরিয়ে আনে। বর্ণনাকারী ইবনে সিরিন বলেন, আমি বললাম ,তালাকটি কি ধর্তব্য হবে? ইবনে ওমর (রা.) বললেন, তাহলে কী? (সহিহ বুখারি)
মাসিক অবস্থায় এক তালাক দিয়ে ফেললে যথানিয়মে ইদ্দত শেষ হওয়া পর্যন্ত স্ত্রীকে ফিরিয়ে নেওয়ার সুযোগ থাকবে। ইদ্দত শেষ হয়ে গেলে স্ত্রীর সম্মতিক্রমে তাকে নতুন করে বিয়ে করা যাবে। পরবর্তীতে তার অধিকারে দুই তালাক থাকবে। কিন্তু তিন তালাক দিয়ে দিলে স্ত্রীকে ফিরিয়ে নেওয়া বা নতুন করে বিয়ে করার সুযোগ থাকবে না যতোদিন স্ত্রী নতুন আরেকটি বিয়ে করে এবং ওই স্বামী তাকে তালাক দেয় বা তার মৃত্যু হয়।
ওএফএফ/জেআইএম
Advertisement