সম্প্রতি গোয়েন্দা উপগ্রহের সফল উৎক্ষেপণ করেছে উত্তর কোরিয়া। সফলভাবে মহাশূন্যে উৎক্ষেপণের পর ওই গোয়েন্দা উপগ্রহ ছবি পাঠানো শুরু করেছে। চলতি বছর এর আগে আরও দুবার এ ধরনের প্রচেষ্টা ব্যর্থ হবার পর তৃতীয় বারের প্রচেষ্টায় এই উপগ্রহ উৎক্ষেপণে সফল হয় পিয়ংইয়ং।
Advertisement
গত কয়েক দশক ধরে বিভিন্ন দেশের সরকার এবং বিশ্লেষকদের নজরদারির পরেও এ ধরনের কার্যক্রমে সফল হলো উত্তর কোরিয়া। বিশ্বকে তারা এই বার্তা দিলো যে, আমরাও তোমাদের ওপর নজরদারি চালাতে পারি।
আরও পড়ুন: গোয়েন্দা উপগ্রহের সফল উৎক্ষেপণের দাবি উ. কোরিয়ার
উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা কেসিএনএ মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) জানিয়েছে, হোয়াইট হাউস, দেশটির প্রতিরক্ষা সদর দপ্তর পেন্টাগন এবং নরফোকে অবস্থিত নৌ ঘাঁটিতে মার্কিন বিমানবাহী রণতরীর ছবি তুলেছে সামরিক বাহিনীর এই গোয়েন্দা উপগ্রহ। এসব ছবি দেখেছেন উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন।
Advertisement
গত সপ্তাহে প্রথম বারের মতো সামরিক গোয়েন্দা উপগ্রহ উৎক্ষেপণের কথা জানায় উত্তর কোরিয়া। সে সময় পিয়ংইয়ংয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র এবং দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক গতিবিধি পর্যবেক্ষণের বিষয়টি মাথায় রেখেই এই উপগ্রহের নকশা করা হয়েছে।
উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ছাড়াও দক্ষিণ কোরিয়া, যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল গুয়ামের অ্যান্ডারসেন বিমানঘাঁটি এবং সামরিক ঘাঁটির ছবি তুলেছে এই কৃত্রিম গোয়েন্দা উপগ্রহ।
তবে উত্তর কোরিয়া বিভিন্ন স্থানের ছবি হাতের পাওয়ার দাবি করলেও তাদের পক্ষ থেকে কোনো ধরনের ছবি প্রকাশ করা হয়নি। সে কারণে বিভিন্ন দেশের সরকার এবং বিশেষজ্ঞদের মধ্যে এ নিয়ে গুঞ্জন তৈরি হয়েছে। এই উপগ্রহের সক্ষমতা কতটা সেটা কেউ যাচাই করতে পারছেন না।
গত সেপ্টেম্বরে উত্তর কোরিয়ার শীর্ষ নেতা কিম জং উনের সঙ্গে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বৈঠকের পর এ ধরনের উপগ্রহ উৎক্ষেপণ করা হয়। সে সময় পিয়ংইয়ংকে মহাকাশ কর্মসূচিতে সহায়তা করার প্রস্তাব দিয়েছিল মস্কো। এরপরেই উত্তর কোরিয়ার পক্ষ থেকে জানানো হয় যে, মালিগিয়ং-১ নামের উপগ্রহটি সঠিকভাবে কক্ষপথে প্রবেশ করেছে এবং কিম জং উন এই কার্যক্রম প্রত্যক্ষ করেছেন।
Advertisement
আরও পড়ুন: উত্তর কোরিয়ার গোয়েন্দা স্যাটেলাইট নিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার উদ্বেগ
কেসিএনএর প্রকাশিত ছবিগুলোতে দেখা যায়, একটি ঘাঁটি থেকে উপগ্রহটি উৎক্ষেপণ করা হচ্ছে এবং দূর থেকে তা দেখছেন কিম জং উন। সে সময় এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, কিম সরাসরি গোয়েন্দা উপগ্রহের উৎক্ষেপণ প্রত্যক্ষ করেছেন এবং এর সঙ্গে যারা যুক্ত ছিলেন তাদের অভিনন্দন জানিয়েছেন তিনি। তবে উত্তর কোরিয়ার এই উপগ্রহ উৎক্ষেপণের ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছিল জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্র, জাপানসহ বিভিন্ন দেশ।
টিটিএন