শীত আসতেই খুশকির সমস্যায় ভোগেন অনেকেই। এই ঋতু ত্বক-চুল ও শরীরে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। তবে খুশকির সমস্যা একবার শুরু হলে তা সারানো বেশ মুশকিল।
Advertisement
আসলে মাথার ত্বক বা স্ক্যাল্প অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে গেলেই খুশকির সমস্যা দেখা দেয়। এখনো যেহেতু শীত তেমন জেঁকে বসেনি, এই এখন থেকেই খুশকি প্রতিরোধ কী করবেন জেনে নিন-
আরও পড়ুন: পুরুষের চুল পড়া বন্ধের ১০ উপায়
নিয়মিত চুলের গোড়া পরিষ্কার করলে, তেল মাখলে ও স্ক্যাল্পের আর্দ্রতা বজায় থাকলে খুশকির সমস্যা তেমন দেখা দেবে না।
Advertisement
তবে খুশকির সমস্যাকে দূর করতে গেলে অ্যান্টি ফাঙ্গাল ও অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি ট্রিটেমেন্টের সাহায্য নিতে হবে। এক্ষেত্রে আপনি ঘরোয়া উপায়েও খুশকির সমস্যাকে রুখে দিতে পারেন। রইলো টিপস-
ভিনেগার
স্ক্যাল্পের পিএইচ স্তরের ভারসাম্য বজায় রাখতে ও খুশকির সমস্যা কমাতে ব্যবহার করতে পারেন আপেল সিডার ভিনেগার। এটি স্ক্যাল্পে ইস্টের উৎপাদনকে প্রতিরোধ করে।
আরও পড়ুন: ত্বক ও চুলের যত্নে কোরিয়ানরা কেন চালের পানি মাখেন?
Advertisement
এছাড়া এই ভিনেগার চুলের প্রাকৃতিক ক্লিনজার হিসেবে কাজ করে। এভাবেই অ্যাপেল সিডার ভিনেগার খুশকির সমস্যা প্রতিরোধ করে।
এজন্য ৩ কাপ জলের সঙ্গে ২ কাপ অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার মিশিয়ে নিন। শ্যাম্পু করার পর এই মিশ্রণ দিয়ে চুল ধুয়ে নিন। ২ মিনিট অপেক্ষা করে, আবার পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে নিন।
আরও পড়ুন: ১০ খাবারেই বাড়বে ত্বক ও চুলের সৌন্দর্য
নারকেল তেল ও লেবুর রস
খুশকির বিরুদ্ধে দুর্দান্ত কাজ করে লেবুর রস। অন্যদিকে নারকেলের মধ্যে আছে অ্যান্টি-ফাঙ্গাল উপাদান। যা নারকেলের তেল শুষ্ক স্ক্যাল্পে আর্দ্রতা জোগায় ও চুলকানি দূর করে।
অ্যান্টি-ডানড্রফের প্রতিকার হিসেবে সমপরিমাণ নারকেল তেল ও লেবুর রস একসঙ্গে মিশিয়ে স্ক্যাল্পে লাগান। ভালো করে মালিশ করুন ও ২০ মিনিট অপেক্ষা। এরপর শ্যাম্পু করে নিন।
সূত্র: টিভি৯
জেএমএস/এএসএম