প্রথম থেকে নবম শ্রেণিতে ভর্তির জন্য শিক্ষার্থী বাছাই করতে ডিজিটাল লটারি অনুষ্ঠিত হবে আজ। রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে বেলা ১১টায় কেন্দ্রীয় ব্যবস্থাপনায় এ লটারি কার্যক্রম শুরু হবে।
Advertisement
লটারির মাধ্যমে ভর্তি অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করবেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। বিশেষ অতিথি থাকবেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল ও শিক্ষাসচিব সোলেমান খান। সভাপতিত্ব করবেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ।
এদিকে স্কুলে ভর্তির ডিজিটাল লটারির কার্যক্রম মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে লাইভ সম্প্রচার করা হবে। এছাড়া বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলেও অনুষ্ঠানটি সম্প্রচার করা হবে।
মাউশির এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। এতে আরও জানানো হয়, গত ২৬ নভেম্বর ডিজিটাল লটারির জন্য তারিখ নির্ধারিত ছিল। কিন্তু ওইদিন এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়। এজন্য লটারির তারিখ পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে।
Advertisement
মাউশি সূত্র জানায়, ২০২৪ শিক্ষাবর্ষে প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীর ভর্তির জন্য গত ২৪ অক্টোবর আবেদন নেওয়া শুরু হয়েছিল। প্রথমে ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত সময় থাকলেও পরে তা বাড়িয়ে ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়।
মাউশির সূত্র মতে, কেন্দ্রীয় ডিজিটাল লটারির অধীনে এসেছে সারাদেশের সরকারি-বেসরকারি তিন হাজার ৮৪৬টি বিদ্যালয়। এ বিদ্যালয়গুলোতে শূন্য আসন সংখ্যা ১১ লাখ ২২ হাজার ৯৪টি। বিপরীতে ভর্তির জন্য মোট আবেদন জমা পড়েছে ৮ লাখ ৭৩ হাজার ৭৯২টি।
৬৫৮টি সরকারি বিদ্যালয়ে আসন সংখ্যা ১ লাখ ১৮ হাজার ১০১টি। এর বিপরীতে আবেদন করেছে ৫ লাখ ৬৩ হাজার ১৩ জন শিক্ষার্থী। অর্থাৎ আসনপ্রতি প্রতিদ্বন্দ্বী পাঁচজন।
অন্যদিকে, তিন হাজার ১৮৮টি বেসরকারি বিদ্যালয়ে শূন্য আসন ১০ লাখ তিন হাজার ৯৯৩টি। বিপরীতে আবেদন করেছে তিন লাখ ১০ হাজার ৭৭৯ জন। ফলে সব শিক্ষার্থী ভর্তি হলেও বেসরকারি বিদ্যালয়ে প্রায় সাত লাখ আসন ফাঁকা পড়ে থাকবে।
Advertisement
আগে শুধু প্রথম শ্রেণিতে লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হতো। দ্বিতীয় থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থী ভর্তিতে পরীক্ষা নেওয়া হতো। নবম শ্রেণিতে ভর্তি করা হতো জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে। তবে ২০২১ শিক্ষাবর্ষ থেকে প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি করানো হচ্ছে।
এএএইচ/জেএইচ/এএসএম