চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের কয়েকজন শিক্ষার্থীর উদ্যোগে গড়ে ওঠা গণিত শেখার প্লাটফর্ম ‘ম্যাথট্রনিক্স’ পেয়েছে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি।
Advertisement
সোমবার (২৭ নভেম্বর) বিকেল ৩টায় চবি সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি জানান প্রতিষ্ঠানটির সহ-প্রতিষ্ঠাতা আলভি আহমেদ।
আলভি আহমেদ বলেন, বাংলাদেশের শিক্ষা প্লাটফর্মগুলো নিয়ে ফিনল্যান্ডভিত্তিক সেবামূলক সংস্থা ‘হান্ড্রেড অ্যান্ড এডটেক হাব’ গবেষণা করে গত ২৪ নভেম্বর বাংলাদেশের ১৬৮টি প্ল্যাটফর্ম থেকে শীর্ষ ১৫টি প্ল্যাটফর্মকে স্বীকৃতি দিয়েছে। এরমধ্যে আমাদের গণিত শেখার প্ল্যাটফর্ম ‘ম্যাথট্রনিক্স’ স্থান করে নেয়।
তিনি আরও বলেন, আমরা প্রায় ২ বছর ধরে প্লাটফর্মটি নিয়ে কাজ করছি। এ পর্যন্ত প্রায় দেড় লক্ষাধিক শিক্ষার্থীকে গণিত পড়ানোর অভিজ্ঞতা হয়েছে। এছাড়া বাস্তব জীবনে গণিতের প্রয়োগ, অ্যানিমেটেড গল্পে গণিত, ডিজিটাল ইন্টারেক্টিভ ম্যাথ বুক, অগমেন্টেড রিয়েলিটি ফিচার ম্যাথট্রনিক্সের অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারসহ বিভিন্ন গাণিতিক দক্ষতা নিয়ে কাজ করছি আমরা। এমনকি আমাদের ‘ইইই’ বিভাগে এবছর থেকে যে স্টার্টআপ প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে, আমরা সেখানেও চ্যাম্পিয়ন হয়েছি।
Advertisement
প্লাটফর্মটির আরেক সহ-প্রতিষ্ঠাতা বৃষ্টি ফারজানা বলেন, শিক্ষার্থীরা প্রায়ই টিউশনের জন্য অতিরিক্ত সময় নষ্ট করে থাকেন। কিন্তু ‘ম্যাথট্রনিক্স’র মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা এখন ঘরে বসে টিউশন করতে পারবে। তাদের আর যাতায়াতের জন্য অতিরিক্ত সময় নষ্ট হবে না।
তিনি বলেন, গণিত শিক্ষায় শিক্ষার্থীদের ভীতি দূর করে সেটাকে জনপ্রিয় করতে সাফল্যের সঙ্গে অবদান রেখে যাচ্ছেন প্রতিষ্ঠানটির আরও চারজন সদস্য জ্যোতি, মমশাদ, আরমান ও রিশাদ। আশাকরি আগামীর বাংলাদেশে নতুন কর্মসংস্থান তৈরিতে এ ধরনের স্বীকৃতিগুলো নতুন প্রজন্মকে উৎসাহ ও অনুপ্রেরণা যোগাবে।
গণিত শিক্ষায় শিক্ষার্থীদের ভয়-ভীতি দূর করার লক্ষ্যে ২০২১ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী আলভী আহমেদ ও বৃষ্টি ফারজানা প্রতিষ্ঠা করেন গণিত শেখার প্লাটফর্ম ‘ম্যাথট্রনিক্স’। প্লাটফর্মের উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করছেন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আরিফ ইফতেখার মাহমুদ।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির আরও দুইজন সহ-প্রতিষ্ঠাতা মো. আরমান হোসাইন ও সৈয়দ মমশাদ আহম্মদ।
Advertisement
আহমেদ জুনাইদ/এফএ/এএসএম