বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত এলাকা থেকে আবারও বিপুল পরিমানে চোরাই সোনা উদ্ধার করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। গত রোববার (২৬ নভেম্বর) পেট্রাপোল স্থলবন্দর চেকপোস্টে একটি ভারতীয় ট্রাক তল্লাশি করে বিভিন্ন আকারের ১৭টি সোনার বার উদ্ধার করেন বিএসএফ জওয়ানরা।
Advertisement
উদ্ধার করা সোনার আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় ১ কোটি ২৭ লাখ ৫৬ হাজার রুপি। সোনার বারগুলো বাংলাদেশ থেকে ভারতে পাচারের চেষ্টা হচ্ছিল।
আরও পড়ুন>> বাংলাদেশ থেকে পাচার হওয়া ১৪ কেজি সোনা উদ্ধার পশ্চিমবঙ্গে
জানা গেছে, ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী গোয়েন্দা সূত্রে খবর পায়, বাংলাদেশ থেকে আসা একটি খালি ট্রাকে সোনা পাচার করা হবে। সেই তথ্যের ভিত্তিতে আইসিপি পেট্রাপোল স্থলবন্দরে অপেক্ষায় থাকেন বিএসএফ জওয়ানরা।
Advertisement
তারা লক্ষ্য করেন, একটি খালি ট্রাক পেট্রাপোল সীমান্তর দিকে আসছে। ট্রাকটি থামিয়ে প্রাথমিক তদন্তের পর বিএসএফ সদস্যদের সন্দেহ হওয়ায় আইসিপি পেট্রাপোলের পার্কিং এলাকায় নিয়ে আসা হয়। সেখানে পুঙ্খানুপুঙ্খ তল্লাশির সময় চালকের আসনের পেছনে কেবিনের ওপর কালো টেপে মোড়ানো অবস্থায় ১৭টি সোনার টুকরো উদ্ধার হয়।
আরও পড়ুন>> বাংলাদেশ থেকে ভারতে পাচারকালে ২৩ কেজি সোনা উদ্ধার
এর মধ্যে আটটি সোনার বিস্কুট, চারটি বিকৃত আকারের সোনার কিউব এবং পাঁচটি ছোট সোনার বার ছিল।
ঘটনাস্থল থেকে ট্রাকটির চালককে আটক ও ট্রাকসহ সোনা জব্দ করে বিএসএফ। আটককৃত ব্যক্তির নাম আব্দুল জোহাব মালিক (২৯)। তিনি পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনার খালিতপুর গ্রামের বাসিন্দা।
Advertisement
জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্ত জানান, গত ২৫ নভেম্বর রাতে আশিক মণ্ডল নামে বেনাপোলের এক যুবক তার কাছে এসে ১৭টি সোনার টুকরো দেন। সেগুলো কালো টেপ দিয়ে মোড়ানো ছিল। সোনাগুলো চালকের আসনের পেছনে কেবিনের ভেতরে লুকিয়ে রাখেন জোহাব।
আরও পড়ুন>> বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে ৫ কোটি টাকার সোনাসহ আটক ১
তিনি আরও বলেন, সোনাগুলো ভারতের বনগাঁয়ের এক অজ্ঞাত ব্যক্তির কাছে হস্তান্তরের কথা ছিল। এই কাজের জন্য আমাকে ১০ হাজার রুপি দিতো।
পরবর্তী আইনি পদক্ষেপের জন্য আটক ব্যক্তি ও জব্দ সোনা শুল্ক বিভাগ পেট্রাপোলের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে ।
ডিডি/কেএএ