আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা সৈয়দ এ কে একরামুজ্জামান।
Advertisement
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ (নাসিরনগর) আসন থেকে সোমবার (২৭ নভেম্বর) বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন তিনি।
এরআগে দুপুর ১২টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তৃতীয় আদালতে পুলিশের করা একটি বিস্ফোরক মামলায় হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেন একরামুজ্জামান। আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন।
নাসিরনগর থানা সূত্রে জানা গেছে, গত ২ নভেম্বর রাত ৮টার দিকে নাসিরনগর উপজেলা সদরের কাঁশফুল রেস্তোরাঁর সামনে সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগ এনে বিস্ফোরক আইনে ৩৮ জনকে আসামি করে থানায় মামলা করেন উপপরিদর্শক (এসআই) রুপন নাথ। সরকারি কাজে বাধাদান, হত্যার উদ্দেশ্যে বিস্ফোরক দ্রব্য ব্যবহার ও পুলিশ সদস্য আহতের ঘটনায় করা ওই মামলায় একরামুজ্জামানকে চার নম্বর আসামি করা হয়। ঘটনাস্থল থেকে ককটেল ও দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
Advertisement
আজ সকাল পৌনে ১০টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জজ আদালতে আসেন একরামুজ্জামান। আদালতে তার পক্ষে আইনজীবী আলী আজমের নেতৃত্বে ১৫-২০ জন আইনজীবী শুনানিতে অংশ নেন।
একরামুজ্জামানের আইনজীবী আলী আজম জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হওয়া বিস্ফোরক আইনের মামলার তারিখ গত ২ নভেম্বর উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু ঘটনার সময় একরামুজ্জামান ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় উপস্থিত ছিলেন না। কারণ গত ২ নভেম্বর ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তিনি একটি মামলায় হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে ঢাকার ওই আদালত তাকে জামিন দেন। এ প্রমাণপত্রসহ আরও অন্যান্য প্রমাণপত্র ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আদালতে পেশ করা হয়েছে। আদালত সবকিছু বিবেচনা করে একরামুজ্জামানকে জামিন দেন।
এ বিষয়ে সৈয়দ এ কে একরামুজ্জামান বলেন, ‘আমি জামিন পেয়েছি। এখন ঢাকায় যাচ্ছি। নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া নিয়ে এ মুহূর্তে বলার মতো কিছুই নেই। এখনই সবকিছু স্পষ্ট করতে চাচ্ছি না।’
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য বি এম ফরহাদ হোসেন। এবারও তিনি আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন। তবে এ আসনে মাঠ পর্যায়ে একরামুজ্জামানের ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে। এ আসনে সাবেক এমপি সাফি মাহমুদ তৃণমূল বিএনপি থেকে মনোনয়ন নিয়েছেন।
Advertisement
আবুল হাসনাত মো. রাফি/এসআর/এমএস