বিনোদন

শুরু হচ্ছে নতুন ধারাবাহিক ‘হাবুর স্কলারশিপ’

বৈশাখী টেলিভিশনে আগামীকাল (২৮ নভেম্বর) থেকে শুরু হচ্ছে নতুন দীর্ঘ ধারাবাহিক ‘হাবুর স্কলারশিপ’। এটি প্রচার হবে প্রতি মঙ্গল, বুধ, বৃহস্পতিবার রাত ৮টা ৪০ মিনিটে।

Advertisement

গত ঈদ উল ফিতর এবং ঈদুল আজহায় প্রচারিত সাত পর্বের বিশেষ ধারাবাহিক ‘হাবুর স্কলারশিপ’ নাটকের অভাবনীয় সাফল্যের পরই নির্মিত হয়েছে দীর্ঘ ধারাবাহিক ‘হাবুর স্কলারশিপ’।

নাটক দুটি, দুই ঈদেই ইউটিউবে প্রথম হয় এবং দর্শকদের মধ্যে বেশ আগ্রহ তৈরি করে। দর্শকদের চাহিদার কথা চিন্তা করে তাদের প্রতি সম্মান জানিয়ে দীর্ঘ ধারাবাহিক আকারে নাটকটি নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয় প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ‘মিড এন্টারপ্রাইজ’।

আরও পড়ুন: যে তারকারা আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাননি

Advertisement

আর এ নাটকের মাধ্যমেই জনপ্রিয় অভিনেতা রাশেদ সীমান্ত এই প্রথম কোনো দীর্ঘ ধারাবাহিক নাটকে অভিনয় করছেন।

বৈশাখী টিভির উপব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক টিপু আলম মিলনের গল্পে, আহসান আলমগীরের চিত্রনাট্যে নাটকটি পরিচালনা করেছেন আল হাজেন। রাশেদ সীমান্ত ছাড়াও গত দুই সিজনে অভিনয় করেন, তানজিকা আমিন, অলিউল হক রুমি, শফিক খান দিলু, হায়দার আলী, সাইকা আহমেদসহ অনেকে। এবার ধারাবাহিকে নতুন করে যুক্ত হয়েছেন অহনা রহমান, মৌসুমী হামিদ, নীলা ইসলামসহ এক ঝাঁক তারকা।

এরই মধ্যে নাটক দুটি বাংলাদেশ এবং অস্ট্রেলিয়ায় চিত্রায়িত হয়েছে। নাটকের গল্পে দেখা যায় গ্রামের অত্যন্ত সহজ সরল একটি ছেলে ‘হাবু স্কলারশিপ’ পেয়ে অস্ট্রেলিয়ায় পড়ালেখা করতে যায় এবং সেই বিশ্ববিদ্যালয়ে আগের সব রেকর্ড ভেঙে দিয়ে ছেলেটি ফার্স্ট হয়।

হাবু অস্ট্রেলিয়া যে পাঁচ বছর পড়ালেখা করে সেই সময় হাবুর যে কোনো বিপদে আপদে পাশে এসে দাঁড়ায় তারই আরেক বাংলাদেশি সহপাঠী মারজান। এনএসডব্লিউ ইউনিভার্সিটি হাবুকে অফার করে সে যেন অস্ট্রেলিায়য় থেকে ইউনিভার্সিটিতে ফ্যাকাল্টি মেম্বার হিসেবে যোগদান করেন কিন্তু হাবু জানায়, সে তার মেধা তার দেশের জন্যই কাজে লাগাতে চায়। সবকিছু উপেক্ষা করে হাবু দেশে ফিরে আসেন। আগের পর্বগুলো এভাবেই শেষ হয়।

Advertisement

ঠিক এখান থেকেই শুরু- ‘হাবুর স্কলারশিপ’ ধারাবাহিক নাটকের গল্প। নানান ঘাত প্রতিঘাত আর প্রতিকূলতার মধ্য দিয়েই এগিয়ে চলে নাটকের কাহিনি।

নাটকের গল্পকার বৈশাখী টিভির উপব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক টিপু আলম মিলন বলেন, ‘হাবুর স্কলারশিপ’ নাটকের গল্পটি মূলত মেধা পাচারকে কেন্দ্র করে। আমরা প্রতিনিয়তই দেখি শত শত মেধাবী ছাত্র-ছাত্রী বিদেশে পড়তে গিয়ে আর ফিরে আসে না। এভাবেই দেশটি মেধাশূন্য হয়ে যাচ্ছে।

এমআই/এমএমএফ/এএসএম