রাজনীতি

ইনু ও সেলিম ওসমানের আসনে প্রার্থী দেয়নি আওয়ামী লীগ

১৪ দলীয় জোট এবং জাতীয় পার্টির আসনগুলোতেও প্রার্থী দিয়েছে আওয়ামী লীগ। এর মধ্যে বেশ কয়েকটি আসনে শক্তিশালী প্রার্থীই দিয়েছে, যাদের বিপরীতে জোটের পক্ষে পাস করে আসা সম্ভব নয় বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। আওয়ামী লীগ শুধু প্রার্থী ঘোষণা করেনি জাসদ একাংশের সভাপতি হাছানুল হক ইনুর আসন (কুষ্টিয়া-২) এবং জাতীয় পার্টির নেতা এ কে এম সেলিম ওসমানের (নারায়ণগঞ্জ-৫) আসনে।

Advertisement

এছাড়া ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেননের আসনে বাহাউদ্দিন নাছিম, জাসদের সাধারণ সম্পাদক শিরিন আখতারের আসনে প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার সাবেক ব্যক্তিগত সহকারী (পিএস) আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিমের মতো শক্তিশালী প্রার্থী দিয়েছে আওয়ামী লীগ।

রোববার (২৬ নভেম্বর) বিকেলে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। একে একে ঘোষণা করেন ২৯৮টি সংসদীয় আসনে নৌকার মাঝির নাম। শুধু কুষ্টিয়া-২ এবং নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে প্রার্থিতা প্রকাশ করেনি আওয়ামী লীগ।

আরও পড়ুন>> নৌকার টিকিট পেয়ে উচ্ছ্বসিত নেতারা, কর্মীদের আনন্দ-উল্লাস

Advertisement

এবার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের হয়ে লড়বেন ৯২ জন নতুন মুখ। তবে বাদ পড়েছেন আগের ৬৯ জন সংসদ সদস্য।

এদিন প্রার্থী ঘোষণাকে কেন্দ্র করে দলীয় কার্যালয়ে নেতাকর্মীদের উপচেপড়া ভিড় দেখা যায়। আশপাশের সড়কেরও অবস্থান নেন নেতাকর্মীরা। দুপুর থেকে স্লোগানে স্লোগানে মুখর হয়ে ওঠে দলীয় কার্যালয় এলাকা।

মনোনয়ন ঘোষণার সময় নেতাকর্মীদের স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ চত্বর। প্রার্থীদের নামে নামে স্লোগান দিতে থাকেন অনুসারীরা। সন্ধ্যায় এলাকায় এলাকায় মিষ্টি বিতরণের খবরও পাওয়া গেছে। তবে মন খারাপ মনোনয়ন না পাওয়া নেতা ও সমর্থকদের।

জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে তিন হাজার ৩৬২টি মনোনয়ন ফরম বিক্রি করে আওয়ামী লীগ। সেখানে দেখা গেছে, ৩০০ আসন হিসেবে প্রতিটিতে গড়ে ১১ জনের বেশি মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন।

Advertisement

এসইউজে/ইএ/জেআইএম