অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি হামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় ৮ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। বলা হচ্ছে, গত ২০ বছরের মধ্যে এটিই পশ্চিম তীরে ইসরায়েলের সবচেয়ে ভয়াবহ হামলা। রোববার (২৬ নভেম্বর) ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এসব তথ্য জানিয়েছে।
Advertisement
ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, পশ্চিম তীরের জেনিন শহরে সাঁজোয়া যানের বিশাল বহর নিয়ে প্রবেশ করে ইসরায়েলি বাহিনী। তাদের গোলা বর্ষণে নিহত হয় ৫ জন, আহত হয়েছেন অন্তত ১৫ জন।
আরও পড়ুন: পশ্চিম তীরে এখনো হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, জেনিনের শরণার্থীশিবিরে ড্রোন হামলাও চালিয়েছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। এছাড়া, শনিবার (২৫ নভেম্বর) জেনিনের সরকারি হাসপাতাল ও ইবনে সিনা ক্লিনিক ঘিরে রেখেছিল তারা। তারপর তারা অ্যাম্বুলেন্সে তল্লাশি চালায়। সবশেষে তারা ভারী অস্ত্রের সাহায্যে গুলি বর্ষণ করে।
Advertisement
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে, সন্ত্রাসবিরোধী কার্যক্রমের অংশ হিসেবে জেনিন শরণার্থীশিবিরে অভিযান চালানো হয়েছে। মূল ভূখণ্ডের উত্তরে ফিলিস্তিনি এ অঞ্চলে সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর শক্ত ঘাঁটি রয়েছে বলে দাবি তাদের। গত আগস্টে দুই ইসরায়েলি নিহত হওয়ার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে একজনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে বলে জানিয়েছে আইডিএফ।
আরও পড়ুন: নেতানিয়াহুর বাড়ির সামনে ইসরায়েলিদের বিক্ষোভ
ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, শনিবার জেনিনের কাছে কাবাতিয়াতে নিজ বাড়ির বাইরে ২৫ বছর বয়সী এক চিকিৎসককে হত্যা করেছে ইসরায়েলি সেনারা। এছাড়া, রামাল্লা শহরের কাছে এল-বিরেহ এলাকায় একজন ও নাবলুসের দক্ষিণের একটি গ্রামে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর অভিযানের সময় আরেক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।
গত ৭ অক্টোবর থেকেই গাজা অবরুদ্ধ করে নির্বিচার হামলা শুরু করে ইসরায়েল। পাশাপাশি সেখানে স্থল অভিযান চালাতে থাকে তারা। গাজার হামাস সরকারের তথ্যানুযায়ী, অবরুদ্ধ উপত্যকায় ইসরায়েলের হামলায় প্রায় ১৫ হাজার মানুষ নিহত হয়েছে, যাদের মধ্যে প্রায় অর্ধেই নারী-শিশু। অন্যদিকে, ইসরায়েলে হামাসের হামলায় মারা যায় ১ হাজার ২০০ ইসরায়েলি।
Advertisement
সূত্র: এপি
এসএএইচ