চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডে ২০২৩ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় পাসের হার ৭৪ দশমিক ৪৫ শতাংশ। যা গতবছরের তুলনায় কম। গত ২০২২ সালে পাসের হার ছিল ৮০ দশমিক ৫০ শতাংশ। অন্যদিকে গত বছরের চেয়ে জিপিএ ৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে।
Advertisement
এবারে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৬ হাজার ৩৩৯ জন পরীক্ষার্থী। গতবার জিপিএ-৫ পেয়েছিল ১২ হাজার ৬৭০ জন। তবে ছেলেদের চেয়ে মেয়েদের ফলাফল আনুপাতিকহারে ভালো হয়েছে। চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের অধীনে চট্টগ্রামসহ আশপাশের মোট ৫ জেলার ১ লাখ ১ হাজার ৯৪৯ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়।
রোববার ২৬ নভেম্বর বেলা ১২টায় চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ড এ ফলাফল ঘোষণা করে। শিক্ষাবোর্ডের সম্মেলন কক্ষে ফলাফলের তথ্য উপস্থাপন করেন পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর এ এম এম মুজিবুর রহমান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন শিক্ষাবোর্ডের সচিব অধ্যাপক নারায়ণ চন্দ্র নাথ, কলেজ পরিদর্শক অধ্যাপক জাহেদুল হক, বিদ্যালয় পরিদর্শক ড. বিপ্লব গাঙ্গুলি।
ঘোষিত তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালে অনুষ্ঠিত এইচএসসি পরীক্ষায় ২৭৯টি কলেজের ১ লাখ ৩ হাজার ২৪৮ জন ছাত্র-ছাত্রী অংশ নেয়। পাস করেছে ৭৫ হাজার ৯০৩ জন। পরীক্ষায় উপস্থিতির সংখ্যা ১ লাখ ১ হাজার ৯৪৯ জন। পাসের হার ৭৪ দশমিক ৪৫ শতাংশ। এরমধ্যে ১২টি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা শতভাগ পাস করেছে।
Advertisement
একইভাবে একেবারে কোনো শিক্ষার্থী পাস করেনি এমন কলেজের সংখ্যা রয়েছে তিনটি। ঘোষিত ফলাফলে ছাত্রদের পাসের হার ৭১ দশমিক ২৪ শতাংশ। জিপিএ ৫ পেয়েছে ২ হাজার ৮৮৫ জন ছাত্র। ছাত্রীদের পাসের হার ৭৭ দশমিক ২৩ শতাংশ এবং জিপিএ ৫ পেয়েছে ৩ হাজার ৪৫৪ জন ছাত্রী। ফলাফলে বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা সবচেয়ে ভালো করেছে। এতে বিজ্ঞান বিভাগে ৮৮ দশমিক ৪৫ শতাংশ, মানবিকে পাস করেছে ৬৫ দশমিক ২২ শতাংশ এবং ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে ৭৮ দশমিক ৫৬ শতাংশ পরীক্ষার্থী পাস করেছে।
একইভাবে পাঁচ জেলার মধ্যে চট্টগ্রাম জেলার শিক্ষার্থীরা ভালো করেছে। চট্টগ্রাম মহানগরীসহ চট্টগ্রামে পাসের হার ৭৭ দশমিক ২৭ শতাংশ, কক্সবাজার জেলার ৭০ দশমিক ৩৮ শতাংশ, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা ৬৪ দশমিক ৬২ শতাংশ, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা ৬২ দশমিক ২৭ শতাংশ এবং বান্দরবান পার্বত্য জেলার ৬৬ দশমিক ৮১ শতাংশ পাস করেছে।
ইকবাল হোসেন/এমআরএম/জেআইএম
Advertisement