ভ্রমণ

এই শীতে ঘুরে আসুন মহামায়া ও বাওয়াছড়ায়

পাহাড়-সমুদ্র বেষ্টিত অপার সম্ভাবনাময় চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার পর্যটন শিল্প। এখানে আছে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম কৃত্রিম লেক মহামায়া সেচ প্রকল্প। আরও আছে বাওয়াছড়া প্রকল্প।

Advertisement

প্রতিদিন এসব পর্যটন স্পটের সৌন্দর্য উপভোগ করতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে আসেন হাজারো ভ্রমণপিপাসু মানুষ। এবার শীতের মৌসুমে ঘুরে আসতে পারেন এসব পর্যটন স্পটে।

আরও পড়ুন: মিরসরাইয়ে সমুদ্রসৈকতে পর্যটকদের ভিড় 

হ্রদ, ঝরনা, পাহাড় ও গিরিখাদ থাকায় চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলা হয়ে উঠেছে পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় স্থান। প্রতিবছরই বাড়ছে পর্যটকসংখ্যা। গত এক বছরে মিরসরাইয়ের হ্রদ, গিরিখাত ও ঝরনাগুলো দেখতে এসেছেন অন্তত ৩ লাখ পর্যটক।

Advertisement

ঝরনাগুলোর ব্যবস্থাপনার রয়েছে চট্টগ্রাম উত্তর বন বিভাগের বারৈয়ারঢালা রেঞ্জ ও মহামায়া হ্রদের দায়িত্বে রয়েছে মিরসরাই রেঞ্জ। মিরসরাইয়ে হ্রদ ও ঝরনা মিলে যতগুলো পর্যটনস্থান আছে এর মধ্যে মহামায়া হ্রদে পর্যটক আসে সবচেয়ে বেশি।

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মিরসরাই উপজেলার ঠাকুরদীঘি বাজারের পূর্বে এক কিলোমিটার ছায়াঘেরা সড়ক। দেশের যে কোনো স্থান থেকে এসে লেকে যেতে রাস্তায় প্রস্তুত আছে সিএনজি-অটোরিকশা। কিছুদূর পর দেখা মিলবে রেলপথ।

আরও পড়ুন: যে দেশের নাগরিকত্ব মেলে খুব সহজেই 

রেল লাইন পেরুলেই কাছে টানবে মহামায়া। প্রাণের টানে ছুটে আসা পথ যেন ক্রমশই বন্ধুর হতে চাইবে মনের কোণে জাগা মৃদু উত্তেজনায়। দূর থেকে দেখা যায় প্রায় পাহাড়সম বাঁধ। উভয় পাশে শুধু পাহাড় আর পাহাড়। বাঁধের ধারে অপেক্ষমান সারি সারি ডিঙি নৌকো আর ইঞ্জিনচালিত বোট।

Advertisement

আছে শতাধিক কায়াকিং (ছোট বোট)। পর্যটকরা চাইলে নিজেরা পালিশ করে কায়াকিং বোটের মাধ্যমে পুরো লেক ঘুরতে পারবেন। ১১ বর্গকিলোমিটার আয়তনের লেক কেবল সুভা ছড়ায়। পাহাড়ের কোল ঘেঁষে স্বচ্ছ পানিতে তাকাতেই দেখা যায় নীলাকাশ।

পূর্ব-দিগন্তের সারি পাহাড়ের বুক চিরে যেতে যেতে একসময় হারিয়ে যেতেও মন চাইবে কল্পনায়। সঙ্গের সাথী পাশে নিয়ে গেলে তো কথাই নেই। পরিবার-পরিজন নিয়ে গেলেও কোন বারণ নেই। কিছুদূরেই দেখা যাবে পাহাড়ের কান্না। অঝোরে কাঁদছে।

আরও পড়ুন: কম খরচে হানিমুন সারতে কোথায় যাবেন? 

অথচ তার কান্না দেখে নিজের কাঁদতে ইচ্ছে হবে না। উপরন্তু কান্নার জলে গা ভাসাতে মন চাইবে। তারও পূর্বে যেখানে লেকের শেষ প্রান্ত, সেখানেও বইছে ঝরনাধারা।

কি নীল, কি সবুজ, সব রঙের ছড়াছড়ি যেন ঢেলে দেওয়া হয়েছে মহামায়ার প্রকৃতিতে। এর সঙ্গে মিশতে গিয়ে মন এতটাই বদলে যাবে, যেন মন বারবার ঘুরে আসতে চাইবে ফেলে আসা স্মৃতিতে।

অন্যদিকে বাওয়াছড়ার অপরূপ দৃশ্য পর্যটকদের নজর কাড়ে। উপজেলার ওয়াহেদপুর ইউনিয়নের মধ্যম ওয়াহেদপুর বাওয়াছড়া পাহাড়ীয়া এলাকায় যুগ যুগ ধরে ঝরনা প্রবাহিত হচ্ছে।

সবুজ শ্যামল পাহাড়িয়া লেকে পাখিদের কলতানে আবাল, বৃদ্ধ, বণিতা সকলের প্রাণ জুড়িয়ে যাবে। প্রতিদিনই দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে এ স্থানে ছুটে আসে শত শত পর্যটক। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বড় কমলদহ বাজার থেকে থেকে ২ কিলোমিটার পূর্ব দিকে এটি অবস্থিত।

জেএমএস/জিকেএস