শীত আসতেই ত্বক শুষ্ক হয়ে পড়েছে কমবেশি সবার। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ কমে যায়, ফলে ত্বক ফাটে ও কালচে হয়ে যায়।
Advertisement
এ সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে অনেকেই বাজারের নামিদামি প্রসাধনী যেমন- তেল, ময়েশ্চারাইজার, লোশন, গ্লিসারিন ইত্যাদি ব্যবহার করেন।
আরও পড়ুন: গোসলের পরপরই যে কাজ করা বিপজ্জনক
তবে চাইলেই কিন্তু ঘরে থাকা সরিষার তেল ব্যবহার করে এ সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। অনেকেরই ভুল ধারণা আছে, সরিষার তেল মাখলে ত্বক কালচে হয়ে পড়ে।
Advertisement
তবে এ ধারণা পুরোপুরি ভুল। বরং ত্বকের পরিচর্যা করার ক্ষেত্রে অন্যতম ভূমিকা পালন করে সরিষার তেল। সরিষার তেলের মধ্যে থাকে ফ্যাটি অ্যাসিড ও একাধিক প্রয়োজনীয় পুষ্টি।
আরও পড়ুন: স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বয়সের পার্থক্য কত হওয়া উচিত?
এই তেল ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করে। সরিষার তেল ব্যবহারে ত্বক নরম হয়ে ওঠে। শুষ্কভাব দূর হয়ে যায়। শুষ্ক ত্বকে একজিমা ও সোরিয়াসিসের ঝুঁকি বাড়ে।
তবে সরিষার তেল ব্যবহার করলে ত্বকের সমস্যা কমে। সরিষার তেলের মধ্যে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান আছে। প্রতিদিন কয়েক ফোঁটা সরিষার তেল নিয়ে ত্বকে মালিশ করতে পারেন।
Advertisement
এতে ত্বকের রক্ত সঞ্চালন উন্নত হয়। এটি ত্বককে অক্সিজেন ও পুষ্টি জোগায়। মুখের পাশাপাশি আপনি দেহের বাকি অংশেও সরিষার তেল মালিশ করতে পারেন। এতে পেশির চাপ কমে।
আরও পড়ুন: নারীরা কেমন পুরুষের প্রেমে পড়েন?
আর্দ্রহীন ত্বকে দ্রুত বার্ধক্য আসে। তাই ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখা আরও জরুরি। বলিরেখা, সূক্ষ্মরেখা দূর করার ক্ষেত্রে কার্যকর সরিষার তেল। মুখে সরিষার তেল মালিশ করার একটি সুতির কাপড় পানিতে ভিজিয়ে মুখ মুছে ফেলুন।
ত্বকের পাশাপাশি চুলেরও খেয়াল রাখে সরিষার তেল। এই তেল চুল বড় করতে সাহায্য করে। পাশাপাশি সরিষার তেল চুলের শুষ্ক ও রুক্ষ্মভাব দূর করে। সরিষার তেল মালিশ করলে চুলের ফলিকল মজবুত হয় ও চুলের প্রাকৃতিক জেল্লা বজায় থাকে।
সূত্র: টিভি৯
জেএমএস/এমএস