পশ্চিম তীরে রাতভর এমনকি রোববার (২৬ নভেম্বর) সকালেও হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েলি বাহিনী। ফিলিস্তিনি রেড ক্রিসেন্ট জানিয়েছে, জেনিন শহরে ইসরায়েলের ড্রোন হামলায় এক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এছাড়া দক্ষিণাঞ্চলীয় নাবলুসের ইয়াতমা গ্রামে ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযানে আরও এক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। খবর আল জাজিরার।
Advertisement
শনিবার রাতে (২৫ নভেম্বর) মোট ছয় ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। এদিকে গত শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) গাজায় যুদ্ধবিরতি শুরু হয়েছে। তবে যুদ্ধবিরতির পরেও পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলা বন্ধ হয়নি। শুক্রবার থেকে কার্যকর হওয়া চুক্তির শর্ত হিসেবে ৫০ জিম্মিকে ছেড়ে দেবে হামাস এবং ইসরায়েল মুক্তি দেবে ১৫০ ফিলিস্তিনি বন্দিকে।
আরও পড়ুন: ইসরায়েল-ফিলিস্তিন যুদ্ধ যে কারণে আলাদা
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলি আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। সে সময় দুই শতাধিক ইসরায়েলি নাগরিককে জিম্মি হিসেবে অপহরণ করা হয় এবং ১২০০ জন নিহত হয়। এর প্রতিশোধ হিসেবে গাজায় পাল্টা হামলা চালায় ইসরায়েল। বর্বরোচিত এই হামলায় এখন পর্যন্ত প্রায় ১৫ হাজার ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন, যার বেশিরভাগই নারী ও শিশু।
Advertisement
এদিকে ইসরায়েল-হামাসের মধ্যকার চারদিনের যুদ্ধবিরতি দীর্ঘায়িত হওয়ার জোর সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি বলেছেন, আমার মনে হয়, এর বাস্তব সম্ভাবনা রয়েছে। তবে গত ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া এই লড়াই আর কতদিন চলতে পারে, সে বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি তিনি।
শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) সাংবাদিকদের সামনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, আমার প্রত্যাশা হলো, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এটি শেষ করা। তার জন্য আমরা এগিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি বাকি আরব বিশ্বও সব পক্ষের ওপর চাপ দিচ্ছে।
ইসরায়েল এবং ফিলিস্তিনের মধ্যে সংঘাতের ইতিহাস বহু পুরোনো। বছরের পর বছর ধরে দুপক্ষের মধ্যে লড়াই চলছেই। কিন্তু এখন পর্যন্ত এর কোনো সমাধান হয়নি। গাজার চলমান সংঘাত বাকি সব যুদ্ধের মতো হলে এতদিনে হয়তো সেখানে অনেক কিছুর ক্ষেত্রে আলাদা চিত্র দেখা যেত।
অন্য কোথাও এমন সংঘাত হলে হয়তো বহুদিন আগেই এই যুদ্ধবিরতি শুরু হতো। মৃতদের কবর দেওয়া হয়ে যেত এবং ইসরায়েলকে হয়তো জাতিসংঘের সঙ্গে তর্কে জড়াতে হতো যে গাজার পুননির্মাণে ঠিক কী পরিমাণ জিনিসের প্রয়োজন হবে। কিন্তু এই যুদ্ধটা সেগুলোর মতো নয়। কারণ এখানে যে ব্যাপক হত্যাযজ্ঞ চলছে শুধু সেটাই একমাত্র কারণ নয়। এই সংঘাতের পেছনে বেশ কিছু কারণ দায়ী।
Advertisement
আরও পড়ুন: ইসরায়েল-হামাস চুক্তি দীর্ঘায়িত হওয়ার ‘জোর সম্ভাবনা’ দেখছেন বাইডেন
কিন্ত গাজায় যুদ্ধ যত দীর্ঘ হবে এবং ইসরায়েল যত বেশি ফিলিস্তিনি বেসামরিক লোক হত্যা করবে ও হাজার হাজার বাড়িঘর ধ্বংস করবে, ততই এই দুই মিত্র গোষ্ঠীর কোনো কোনো সদস্যের মধ্যে সংঘাতের ঝুঁকি তৈরি হবে।
টিটিএন